ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
যুক্তরাজ্যে চার মন্ত্রীর পদত্যাগ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের খসড়া চুক্তির প্রতিবাদ করে ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডোমিনিক রাব এবং কর্মসংস্থান ও পেনসন মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভেসহ মোট চারজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগে চাপের মুখে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। গত জুলাই মাসে ব্রেক্সিট মন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন রাব।
এর আগে ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করেছিলেন। ডেভিডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রাব। বৃহস্পতিবার আরও যে দুজন কনিষ্ঠ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান এবং শেইলেশ ভারা।
এক বিবৃতিতে ডোমিনিক রাব বলেন, আমি অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে বলছি- ‘ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে গতকাল মন্ত্রী সভার বৈঠকের পর আমার পদত্যাগ করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ।’
মন্ত্রিসভায় কয়েক ঘণ্টার উত্তপ্ত অধিবেশনে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মে’র সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি তোলেন। মের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ম্যাকভে দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন।
তিনি তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, গতকাল আপনি যে খসড়া চুক্তি মন্ত্রী সভায় উপস্থাপন করেছেন তা গণভোটের ফলাফলের জন্য সম্মানজনক নয়। ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইইউয়ের খসড়া চুক্তি হলেও বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে।
চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য ইইউ বেশ কয়েকটি বৈঠকের দিন ধার্য করেছে। এর মধ্যে একটি আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেই ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের পরিকল্পনা রয়েছে। মের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টিও এই খসড়া চুক্তির ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
Comments
Post a Comment