ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
মার্কিন দুই মুসলিম নারী আইনপ্রণেতার ইসরায়েল সফরে নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন কংগ্রেসের দুই মুসলিম নারী সদস্যের ইসরায়েল সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানের পর পর ইসরায়েল আজ বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। ওই দুই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য হলেন ইলহান ওমর ও রাশিদা তালিব। গত বছরের নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হন তাঁরা। তাঁরাই প্রথম দুই মুসলিম নারী, যাঁরা মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য হয়েছেন। আগামী রোববার তাঁদের ইসরায়েল সফরে যাওয়ার কথা ছিল।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে মার্কিন কংগ্রেসের এই দুই সদস্যের সফরে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী যাঁরা ইসরায়েলকে বর্জনের আহ্বান জানান, তাঁদের ইসরায়েল সফর করতে দেওয়া হয় না। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রন ডেরমার অবশ্য এই দুই কংগ্রেস সদস্যের ইসরায়েল সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত ডেরমার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অসাধারণ বন্ধুত্ব ও মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই দুই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্যকে ইসরায়েল সফরের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে এক বার্তায় বলেন, ‘ওই দুই কংগ্রেস সদস্যকে ইসরায়েল সফরের অনুমতি দেওয়া হলে তা হবে ইসরায়েলের দুর্বলতা। তাঁরা ইসরায়েল ও সব ইহুদিকে ঘৃণা করেন। কোনোভাবেই তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো যাবে না।’ ট্রাম্পের ওই টুইটার বার্তার পর ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কথা গণমাধ্যমে আসে। সোমালি বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর এবং ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব প্রকাশ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসীবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী নীতির কঠোর সমালোচক বলে পরিচিত। ইলহান ওমর মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য ও রাশিদা তালিব মিশিগান অঙ্গরাজ্য থেকে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে ইলহান-রাশিদার মতো অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হওয়া নেতাদের প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। ট্রাম্প বলেছেন, এ ধরনের আইনপ্রণেতারা তাঁদের পরিবার যে দেশ থেকে এসেছেন, সে দেশে ফিরে যান। ট্রাম্পের এই বক্তব্য ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।
- Get link
- Other Apps
Labels
News
Labels:
News
- Get link
- Other Apps
Comments
right baby
ReplyDelete