Skip to main content

Featured Post

Britain's Oxford and Cambridge universities are rocked by anti-Israel protests

ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন।  শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়।  ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে।  অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ

Kissinger's name appears on Ukraine's 'enemy' list

 ইউক্রেনের 'শত্রু' তালিকায় উঠে এসেছে কিসিঞ্জারের নাম

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জারকে ‘শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইউক্রেইনের একটি ওয়েবসাইট।শুক্রবার নিজের ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে তার এই তকমা পাওয়ার খবরটি দিয়েছে রুশ সংবাদ মাধ্যমে রাশিয়া টুডে।সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতি পক্ষপাতি হিসেবে চিত্রিত করে কিসিঞ্জারের নাম নিজেদের ওই তালিকায় তুলছে মিরোটভোরোটস ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটটি ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থা ‘এসবিইউ’ নিয়ন্ত্রিত বলে রাশিয়ার দাবি, যেখানে রুশবিরোধী নানা প্রপাগান্ডা চালানো হয়। রিপাবলিকান হেনরি কিসিঞ্জার গত শতকের ৬০ ও ৭০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন কিংবা চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে তার অবস্থানসহ নানা ঘটনায় বিতর্কিতও তিনি। 

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা কিসিঞ্জার তার আগের চার বছর সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে ছিলেন।ইউক্রেইনের কাছে বরাবরই নিন্দিতই কিসিঞ্জার। তিনি কিইভ এবং মস্কোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।

দুদিন আগেও যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়ার কাছে ইউক্রেইনের নিজেদের ভূ-খ- ছেড়ে দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইউক্রেইনে রাশিয়ার জন্য বিব্রতকর পরাজয় না চাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের কাছে আহ্বানও রাখেন তিনি। এরপরই ‘রুশ অপরাধীদের সহযোগী’ হিসেবে তাকে ইউক্রেনীয়দের ‘কালো’ তালিকাভুক্ত হতে হল।

আইরটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিরোটভোরোটসে কিসিঞ্জারকে রুশ প্রপাগান্ডার প্রচারক এবং নিপীড়নের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে’ এ অংশ নেওয়া দেশগুলোকের কাছে ইউক্রেইন প্রসঙ্গে একগুচ্ছ পরামর্শ দেন কিসিঞ্জার। 

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, মস্কো এবং কিইভ একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে ইউক্রেইনের এই সংঘাত যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেবে। মস্কো-কিইভকে শান্তি চুক্তিতে যেতে, তিনি ইউক্রেইনকে অন্ততপক্ষে ফেব্রুয়ারির আগের অবস্থায় ফেরার পরমর্শ দেন। 

এও বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি রক্ষায় ক্রিমিয়ার কাছে ইউক্রেইনকে তার আঞ্চলিক দাবি ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককের স্বায়ত্তশাসন দিতে ইউক্রেইনের কাছে দাবি রাখেন কিসিঞ্জার।পূর্ব ইউক্রেইনের এই দুই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ইতোমধ্যে হারিয়েছে কিইভ সরকার। 

বিপরীতে সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ডাভোসে রাখা বক্তৃতায় ইউক্রেইন ইস্যুতে আট বছর আগে তার চিন্তাভাবনার কথা আবারও তুলে ধরেন কিসিঞ্জার। তিনি বলেন, ইউরোপে বিভেদের ক্ষেত্র হয়ে ওঠার চেয়ে ইউক্রেইনের একটি ‘নিরপেক্ষ রাষ্ট্র’ হিসেবে থাকাই ভালা, যা হতে পারে রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সেতুবন্ধন।

 এদিকে কিসিঞ্জারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ডাভোসের ভাষণেই বলেন, “ইউক্রেইন তার মাটির সম্পূর্ণটা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।” তবে চলতি সপ্তাহে জেলেনস্কি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আমরা চেষ্টা করতে পারি, কূটনৈতিক পথেও হাঁটতে পারি, যদি না খুব দেরি হয়ে থাকে।”তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

29 killed in bus ditch in Mexico

  মেক্সিকোতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯ মেক্সিকোর ওহাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।  বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।  মেক্সিকো সিটি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ওহাকা রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পথে মাগদালেনা পেনাসকো শহরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসুস রোমেরোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  খাদে পড়ে যাওয়ার আগে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।  আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে কাছাকাছি একটি শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৫ জনকে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানী ওহাকা সিটিতে, বলেছেন কর্মকর্তারা।  চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে গেলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।  তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে