Skip to main content

Featured Post

Britain's Oxford and Cambridge universities are rocked by anti-Israel protests

ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন।  শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়।  ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে।  অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ

Three women in Liz Truss' mattress fight

 লিজ ট্রাসের গদির লড়াইয়ে তিন নারী

Three women in Liz Truss' mattress fight
 
 
 


৪৫ দিন ক্ষমতায় থাকার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন লিজ ট্রাস। বিতর্কিত মিনি-বাজেটের খড়্গই তার গদি হারানোর মূল কারণ। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত নিজ পদে দায়িত্ব পালন করবেন কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা। এর মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে নির্বাচন হবে দেশটিতে। ইতোমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ ছয়জনের নাম পাওয়া গেছে এ পদে, যার মধ্যে তিনজনই নারী। এক নজরে দেখে আসার যাক কারা তারা লিজ ট্রাসের গদিতে বসতে মুখিয়ে আছেন   হাউস অব কমন্সের নেত্রী ও প্রিভি কাউন্সিলের লর্ড প্রেসিডেন্ট পেনি মর্ডান্ট। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় পেনি নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জোরালো সমর্থন আদায় করেছিলেন সহকর্মী এমপিদের কাছ থেকে। কিন্তু শেষ দিকে সমর্থনের অভাবে বাদ পড়েন। বর্তমানে নতুন রাজার অ্যাকসেসন কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করছেন তিনি। ২০১৯ সালে সালে যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পেনি মর্ডান্ট, যা ইতিহাসে রূপ নেয়। অর্থাৎ এ পদে আগে কোনো নারী দায়িত্ব পালন করেননি। প্রধানমন্ত্রী পদ পেতে এমপিদের মধ্যে জন ল্যামন্ট, মারিয়া মিলার, বব সিলি এবং ড্যামিয়ান কলিন্সের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন পেনি। উল্লেখ্য, ব্রিটেনের পার্লামেন্টে এক জরুরি প্রশ্নে লিজ ট্রাসকে সমর্থন দিয়েছিলেন পেনি। যার বদৌলতে সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন ব্রিটেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানও। গত বুধবার তিনি নিজের পদত্যাগ পত্র লিজ ট্রাসকে বুঝিয়ে দেন। এমনটি লিজ যাতে পদত্যাগ করেন, সে চাপও সৃষ্টি করেছিলেন সুয়েলা। বিবিসি বলছে, ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে সুয়েলার পদত্যাগ সরকারি নিয়মের প্রযুক্তিগত লঙ্ঘন। তার পদত্যাগটি হয় ক্ষোভের কারণ থেকে। যার পেছনে রয়েছে অভিবাসন নিয়ে মতবিরোধ। তিনি তার পদত্যাগপত্রে ‘একটি ভুল করা ও তা স্বীকার করার কথা’ উল্লেখ করেন। লিজ ট্রাসের সরকারে থাকা অবস্থায় নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকা অধিকাংশ প্রতিশ্রæতিই পূরণ করতে পারছে না বলেও দাবি তুলেছিলেন তিনি। সুয়েলা ব্রেক্সিট সমর্থক হিসেবে বেশ পরিচিত। কারণ, তিনি তখন বরিসকে সমর্থন করেছিলেন। তৎকালীন সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। বরিসের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হতে প্রতিদ্ব›িদ্বতাও করেন সুয়েলা। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে বাদ পড়েন। লিজ ট্রাসের গদি নেওয়ার দাবিদার তৃতীয় নারী কেমি ব্যাডেনোচ। তাকে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, বরিসের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনে তিনিও লড়েছেন। বাদ পড়ে গেলেও নিজের প্রোফাইলকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি। কেমি ব্যাডেনোচ একজন কণিষ্ঠ মন্ত্রী। তিনি সিনিয়র কনজারভেটিভ মাইকেল গভের সমর্থন পেয়েছিলেন। তথাকথিত ‘উইক’ সংস্কৃতির ওপর তার আক্রমনাত্বক কথাবার্তা অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনার রসদ জোগায়। কেমি ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন ঋষি সুনাক ও বেন ওয়ালেস। বরিস জনসনও আরও একবার এ পদে নিজের নাম লেখাতে চাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বসিরের পদত্যাগের পর তার আসনে বসতে চাইছিলেন ঋষি সুনাক। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের দ্বিতীয় রাউন্ডে টোরি নেতারা লিজকে পছন্দ করেন। লিজ ট্রাসের ট্যাক্স পরিকল্পনা অর্থনীতির ক্ষতি করবে বলেও সতর্ক করেছিলেন ঋষি। কিন্তু তারপরও ২১ হাজার ভোটে লিজের বিপরীতে হেরে যান তিনি। ২০১৫ সালে রিচমন্ডের নর্থ ইয়র্কশায়ার থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এ ভারতীয় বংশোদ্ভুত। ২০২০ সালে ফেব্রæয়ারিতে তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। কনজারভেটিভ এমপি অ্যাঞ্জেলা রিচার্ডসন ঋষিকে সমর্থনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও হতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, ব্রিটিশ এমপিরা তার নেতৃত্ব নিরাপদ মনে করেন। সে হিসেবে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন বেন। এখানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে টোরি এমপিদের নতুন নেতা নিয়ে বিভক্তির বিষয়টি। ওয়েলস আলোচনায় আসেন ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে। তার অধীনে কিয়েভকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। বেন বিরোধিতা করতেন ব্রেক্সিটের। কিন্তু তারপরও বরিসের একজন প্রধান সমর্থক ছিলেন তিনি। যে কারণে ২০১৯ সালে মন্ত্রিসভায় আসন পান তিনি। রাজনীতিবিদ হওয়ার আগে ইউরোপের কয়েকটি দেশে সেনা সদস্য হিসেবে কাজ করেন বেন। জার্মানি, সাইপ্রাস, বেলিজ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা চালাতে শত্রুপক্ষের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেন তিনি। সর্বশেষ নির্বাচনেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু তিনি লিজ ট্রাসকে সমর্থন দেন। ট্রাস ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হয়। কিন্তু বেন ওয়ালেস স্বপদেই থেকে যান।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, বাংলানিউজ

Comments

Popular posts from this blog

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

29 killed in bus ditch in Mexico

  মেক্সিকোতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯ মেক্সিকোর ওহাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।  বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।  মেক্সিকো সিটি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ওহাকা রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পথে মাগদালেনা পেনাসকো শহরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসুস রোমেরোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  খাদে পড়ে যাওয়ার আগে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।  আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে কাছাকাছি একটি শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৫ জনকে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানী ওহাকা সিটিতে, বলেছেন কর্মকর্তারা।  চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে গেলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।  তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে