Skip to main content

Featured Post

Letter to IGP to issue Interpol red notice for Hasina's arrest

  হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। রোববার (৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।  মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়।  এর আগে ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার অভিযুক্ত পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।  এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেওয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কারণ নেই।  আসিফ নজরুল আরও বলেন, এটা কোনো মামলা না, এটা

How much more torture will Hilsa endure

 bengali movie,bengali full movie,bangla full movie,bangla movie,chiranjit bengali movie,utpal dutta bengali movie,sabyasachi chakraborty bengali movie,choto bou bengali full movie,bengali new movie,bengali letest movie,kanchan mullick movie,new bengali full movie,choto bou bengali movie,chhoto bou bengali movie,buk bhora bhalobasa full movie,prosenjit bangla movie,chiranjit bangla movie,prosenjit bengali movie,ilzaam full movie,bengali family movie

ইলিশ আর কত অত্যাচার সইবে

ডুবোচরে বাধা পেয়ে ইলিশ যাচ্ছে ভিন্ন পথে।ডিম ছাড়ছে ‘অন্য বাড়িতে’।সেই ডিম ফুটে বের হওয়া ছানাপোনারা খাবারের খোঁজে এসে জড়ো হচ্ছে ডুবোচরগুলোয়।আরও নানা অত্যাচারের মুখে ইলিশ।প্রথম আলোর অনুসন্ধানের সারথি হয়ে জেনে নিতে পারেন ইলিশের ধ্বংসকাহিনি। ভোজনপ্রিয় মানুষের কাছে যেমন লোভনীয় ইলিশ, তেমনি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের কাছে মোহনীয় হতে পারে ডুবোচর।আর এই দুটিরই সমাহার দেখতে হলে আসতে হবে ভোলার মেঘনা নদীতে।তবে আগেই বলে রাখা ভালো, আসার পর কিন্তু ছুটে যেতে পারে সব রোমাঞ্চ।

কারণ, এখানে ঘটে চলেছে মন খারাপ করা সব ঘটনা।জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে এবং মানুষের অবিবেচক-অবৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি হচ্ছে ডুবোচর।সেই চরে বাধা পেয়ে ইলিশ যাচ্ছে ভিন্ন পথে।ডিম ছাড়ছে ‘অন্য বাড়িতে’।সেই ডিম ফুটে বের হওয়া ছানাপোনারা খাবারের খোঁজে এসে জড়ো হচ্ছে ডুবোচরগুলোয়।আসছে অন্য মাছের পোনারাও। তখন আবার সেই মাছের লোভে দলে দলে ছুটে আসেন অসাধু মৎস্য কারবারিদের ভাড়াটে জেলেরা।

তাঁরা বাছবিচার ছাড়াই মেতে ওঠেন মাছ শিকারে।ক্ষতিকর নিষিদ্ধ জাল ফেলে ডুবোচরে ও আশপাশের নদীতে আশ্রয় নেওয়া ধরা নিষিদ্ধ এমন সব ছোট মাছ ধরে নিয়ে যান।সঙ্গে বড় ও মাঝারি মাছও ধরা পড়ে।ওই জালে আরও ধরা পড়ে অন্যান্য প্রজাতির মাছ, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের রেণু-পোনা।জালে আটকে সেগুলো অকালেই মারা পড়ে।

রেহাই পায় না চাপিলা-জাটকা-ছোট আকারের ইলিশও।সেগুলো ধরে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় আড়তদারের হাতে। আরও অনেক রকমের অঘটনের কথা শোনা যাবে বিশেষজ্ঞদের মুখে।দেখা যাবে সরেজমিন ঘুরলে।প্রিয় পাঠক, প্রথম আলোর অনুসন্ধানের সারথি হয়ে জেনে নিতে পারেন ইলিশের ধ্বংসকাহিনি।  জলবায়ুর অভিঘাতে ইলিশ মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক বছর ধরে ভরা মৌসুমে নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ উঠছে না।এর প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বৃষ্টির ব্যাকরণ বদলে যাচ্ছে।
বর্ষার বড় সময়জুড়ে বৃষ্টি থাকছে না, আবার হঠাৎ হঠাৎ অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।  

আষাঢ়ের শুরু থেকে (এপ্রিল-মে) যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়, তাহলে ইলিশের পেটে ডিম আসত।কিন্তু সেটা হচ্ছে না।পেটে ডিম না এলে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে উঠবে না।অতিরিক্ত খরা, অনাবৃষ্টি, প্রচণ্ড গরম, পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা অস্বাভাবিক হলেও ইলিশের পেটে ডিম আসে না।এর সঙ্গে নদীর স্রোত ও পানির গভীরতাও সম্পর্কিত।নদীর পানি ডিম ছাড়ার উপযুক্ত হলে ইলিশই বোঝে যে তার নদীতে ওঠার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।তবে বৃষ্টি অতিরিক্ত হলেও ইলিশের ক্ষতি নেই।

bengali movie,bengali full movie,bangla full movie,bangla movie,chiranjit bengali movie,utpal dutta bengali movie,sabyasachi chakraborty bengali movie,choto bou bengali full movie,bengali new movie,bengali letest movie,kanchan mullick movie,new bengali full movie,choto bou bengali movie,chhoto bou bengali movie,buk bhora bhalobasa full movie,prosenjit bangla movie,chiranjit bangla movie,prosenjit bengali movie,ilzaam full movie,bengali family movie

নিষিদ্ধ জালে ইলিশের বংশনাশ আরেক শত্রু বালুডাকাত

মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, নদী থেকে সাগর, সাগর থেকে নদী—ইলিশের চলাচলের পথ (মাইগ্রেটরি রুট) ভরাট হয়ে গেছে; ডুবোচর পড়েছে। ইলিশের পথ যদি আটকে যায়, তাহলে সে উঠবে কীভাবে? আবার ইলিশ ওঠার জন্য কমপক্ষে ১০-১২ ফুট গভীর পানি দরকার। 

কিন্তু মোহনার পথে পলি পড়ে ভরাট হয়ে পানির গভীরতা কোথাও কোথাও ৪-৫ ফুটও হয়েছে। জেলেরাও জানান, সাগরমোহনার গ্যাসফিল্ড নামক স্থান থেকে উত্তরে চাঁদপুর পর্যন্ত মেঘনা নদীজুড়ে অসংখ্য ডুবোচর পড়েছে। তেঁতুলিয়া নদীরও একই অবস্থা। জেলেদের দাবি, এসব ডুবোচরের কারণে নদীতে ইলিশ কম উঠছে। গত ৬ জুন চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নের ফরেস্ট বাজারে ১০-১২ জন প্রবীণ জেলের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, আগের বর্ষাকাল আর এখনকার বর্ষাকালে অনেক পার্থক্য। এখন সেই পরিমাণ মেঘ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা নেই। 

বৃষ্টি হলেও অসহ্য গরম। ঢালচরের মো. শামসুল হক মাঝি (৭২) এখনো সাগরমোহনায় গিয়ে মাছ শিকার করেন। তিনি বলেন, আগে আষাঢ়ের শুরুতেই বৃষ্টি হতো। সেই বৃষ্টি চলত আশ্বিন মাস পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে নদীর পানির লবণাক্ততা কমে পানি মিষ্টি হতো। আবহাওয়ায় একটা ঠান্ডা ভাব ছিল। এখন ভরা বর্ষায় বৃষ্টি কম, বর্ষার শেষ সময়ে তুমুল বৃষ্টি। এতে লবণাক্ততা কমছে না। এসব কারণেই নদীতে ইলিশ উঠছে না। তাঁর সঙ্গে অন্য জেলেরাও একমত প্রকাশ করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিন ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি খেয়াঘাট দিয়ে মেঘনা নদীর মধ্যে জেগে ওঠা মাঝের চরে যাওয়ার পথে দেখা যায়, সদরের কাচিয়া ও দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের উত্তর-পূর্বাংশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে চরমুনশি, তারও দক্ষিণে নেয়ামতপুর, হাজারীর চরের আশপাশ পর্যন্ত ডুবোচর পড়েছে। মধ্যে সরু লোঙ্গা বা খাল। সেখানে ২০-২২ জন জেলে পিটানো জাল টেনে মাছ শিকার করছেন। 

একই লোঙ্গায় গত শুকনো মৌসুমেও মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও ধনিয়ার ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের নিয়োজিত জেলেদের পাইজাল টেনে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। এসব পিটানো জাল ও পাইজালে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। দেখা যায়, এসব জালে যে মাছ ধরা পড়ছে, তার বেশির ভাগই জাটকা ও ছোট ইলিশ। সঙ্গে অন্য মাছের রেণুপোনা আছে। বড় মাছ খুব কম। স্থানীয় জেলেরা জানান, যদি কখনো জেলেরা গভীর পানিতে ইলিশজাল (ছান্দিজাল) পাতে, আর সেই জাল যদি ভাসতে ভাসতে অবৈধ পিটানো জালের এলাকায় যায়, তবে পিটানো জালের জেলেরা ওই সাধারণ জেলেদের ধাওয়া দেন, মারধর করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায় তুলাতুলি মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে নদীতে যাওয়া জেলেরা একে একে ঘাটে আসছেন মাছ বিক্রি করতে।

কেউ এক হালি, কেউ দুই হালি, মাঝারি কিংবা বড় ইলিশ নিয়ে আড়তদারের বাক্সে ফেলছেন। কোনো আড়তের বাক্স ভর্তি হচ্ছে জাটকায়। জেলে-আড়তদারেরা জানান, এসব জাটকা পিটানো জালে ধরা। তুলাতুলি মাছঘাটের জেলেরা কয়েকটি আড়তের মাছবাক্স দেখিয়ে বলেন, ‘ওই দেখেন, পিটানো জালের একটা সাভারে (মাছ ধরা ট্রলার, জাল, অন্য মালামাল সব মিলিয়ে বলা হয় জাল-সাভার।) সব ছোট ইলিশ পড়ছে; এক-দেড় লাখ টাকা অইবে।’ বেতুয়া লঞ্চঘাট দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যায়, লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের পুবের মেঘনায় ৮ নম্বর চর, মহিষার চর, সাবেক উড়িরচর ও ১২ নম্বর চর এলাকায় কয়েক কিলোমিটারজুড়ে ডুবোচর পড়েছে। 

এসব চরে পিটানো জাল, মশারি জাল ও খরচি জাল পাতা হচ্ছে। মশারি জালের জন্য চরের নেতাদের চাঁদা দিতে হয়। আর খরচি জাল পাতেন স্থানীয় নেতারা। লালমোহন বাত্তিরখালে দেখা যায়, নৌকা থেকে ঝুড়ি ভরে ভরে ঘাটে জাটকা ওঠানো হচ্ছে। অন্য ছোট মাছও রয়েছে। জেলেদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, নদী ও সাগরমোহনায় নিষিদ্ধ জাল পাতেন নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া ও চট্টগ্রামের জেলেরা। তাঁদের কাছে সাধারণ জেলেরা ভিড়তে পারেন না। এ সমস্যা সাগরেও আছে। জেলেরা গভীর সাগরে জাল পেতে বসে থাকলে সাগরের ট্রলিং জাহাজ ইলিশ জাল ছিঁড়ে চলে যায়। কিছু বললে পাইপ দিয়ে গরম পানি মারে।মেঘনা ও সাগরমোহনায় দেখা যায়, কিছু দূর পরপর লোহার ড্রাম, প্লাস্টিকের কনটেইনার, খুঁটির মাথা বের হয়ে আছে। 

এলাকাবাসী বলেন, এগুলো বিন্দিজাল, যার ভালো নাম বেহুন্দি জাল। এ জালের মুখটা হাঁ করে থাকে, যা পায় তা-ই গিলে খায়। আর ত্রিভুজাকৃতি জালের পেছনটা লেজের মতো, যার নাম দুইররা। এ জাল নদীর মধ্যে রড, ইটের বস্তা, বাঁশ-খুঁটি দিয়ে স্থায়ীভাবে বসানো হয়। মুখ দিয়ে যা ঢোকে, তা আর বের হতে পারে না। দেখা যায়, জেলেরা দিনে দুবার লেজটা খুলে নৌকার মধ্যে ঢেলে দেন। তীরে এসে বাছাই করে বড় মাছগুলো বাজারে, আড়তে বিক্রি করেন। ইলিশের জাটকা, অন্য ছোট মাছ ও রেণুপোনাও থাকে। জেলেরা বড় মাছগুলো রেখে ছোট মাছ, জলজ প্রাণী, মাছের খাদ্যকণা হয় রাস্তায় ফেলে দেন, নয়তো রোদে শুঁটকি দেন। জেলেরা জানান, নদীতে তাঁরা সাধারণত কম পানিতে বেহুন্দি পাতেন। কিন্তু সাগরমোহনায় ৬ বাম (এক বামে ৪ হাত) থেকে ২৫ বাম পানির মধ্যেও বেহুন্দি জাল পাতছেন। তাহলে মাছ নদীতে ঢুকবে কীভাবে? প্রকল্প পরিচালক এমদাদুল্যাহ বলেন, ইলিশের জাটকা-পোনা, ছোট ছোট মাছ ও বাচ্চারা ৩-৪ ফুট পানিতে থাকে। গভীর পানির চাপ সহ্য করতে পারে না। 

তাই জোয়ারের সময় খাবারের সন্ধানে বাচ্চাগুলো ডুবোচরে আশ্রয় নেয়। ভাটার সময় প্রভাবশালীরা অবৈধ জালে সেগুলো ধরে ফেলেন। তিনি আরও বলেন, সাগরমোহনার পটুয়াখালীর সোনার চর, ভোলার ঢালচর, নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এলাকাগুলো ইলিশের নদীতে উঠে আসার রুট। এসব মোহনা এলাকায় স্থায়ীভাবে প্রচুর পরিমাণে বড় বড় বেহুন্দি জাল পাতা হচ্ছে। মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতেও অনেক ডুবোচরে অবৈধ জাল পাতা ছিল। তিনি ভোলায় থাকাকালে অবৈধ জালগুলো নষ্ট করে দেন। জাটকার বেশি ক্ষতি করে বেহুন্দি জাল। ২ নম্বরে খুঁটি বা খরচি জাল, তারপর পিটানো জাল, মশারি বা চর ঘেরাজাল, তারপরে পাইজাল, ঘুণ্টি জাল, কোনা জাল, ধরা জাল, অনেক পেছনে কারেন্ট জাল। একটা বেহুন্দি জাল যে পরিমাণ জাটকা ধ্বংস হয়, কারেন্ট জালের সেটা করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। একটা পিটানো জাল একবারে এক হাজার কারেন্ট জালের সমান ক্ষতি করে। এসব ধ্বংসাত্মক অবৈধ জাল কোনো গরিব জেলে পাতেন না।

গরিব জেলে যদি জাটকা ধরেনও সেগুলো সবচেয়ে বড় আকারের। ধনী প্রভাবশালীদের অবৈধ জালেই ইলিশের ডিম-পোনাসহ অন্যান্য মাছের রেণুপোনা ধ্বংস হচ্ছে। ভোলার জেলেরা বলেন, ডুবোচর, অবৈধ জাল ছাড়াও নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না ওঠার আরেক কারণ ভরা মৌসুমে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন। গত মাসের শুরুর দিকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে তাঁরা ইলিশায় বিশাল মানববন্ধন করেছেন। 

এর আগে অনেকবার জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ভোলা জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা যায়, দুই বছর ধরে জেলা প্রশাসন চারটি প্যাকেজে মেঘনা নদীতে বালুমহাল ইজারা দিয়ে আসছে। ইজারাদার প্রতিবছর ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৩২০ ঘনফুট বালু খনন বা উত্তোলন করতে পারবে। কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, বৈধভাবে বালু তোলার পাশাপাশি ভোলার দক্ষিণ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে রাতের আঁধারে চুরি করে লাখ লাখ ঘনফুট বালু কাটা হচ্ছে। 

প্রশাসন প্রায়ই এদের খননযন্ত্র, জাহাজ ও লোকজন জব্দ করে জরিমানা করছে। ভোলা জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মাঝি বলেন, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী ইলিশের প্রধান প্রজননক্ষেত্র ও নার্সারি, যেখানে ইলিশের ডিম ফুটে বাচ্চা বড় হয়, সেখানে কীভাবে বালু উত্তোলন হয়? জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন ও জাটকা বেড়ে ওঠার সময় বালু তোলা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় মৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্ছে। অন্যদিকে পেটের ভাত জোটাতে রাস্

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে