ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!
কবিরা যুগ যুগ ধরে চাঁদ নিয়ে কবিতা লিখেছেন। গীতিকারেরা রচনা করেছেন অসংখ্য হূদয়কাড়া গান। প্রেমিকরা চাঁদকে সাক্ষী রেখে প্রেমিকার হাত ধরে করেন ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা। অনাদিকাল থেকে মানুষ মন খারাপ হলে ঘরের জানালা দিয়ে অথবা বাইরে বসে চাঁদ দেখে মনের দুঃখ দূর করে। ‘চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা’ ছড়া শুনতে শুনতে এই উপগ্রহটির সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই গড়ে ওঠে এক নিবিড় আত্মীয়তার বন্ধন। অথচ জানেন কী ১৯৫৮ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র একবার পারমাণবিক বোমা মেরে চাঁদ ‘উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছিল!
এটা মোটেও আষাঢ়ে গল্প নয়, শতভাগ সত্যি। সোভিয়েত যুগের শীতল যুদ্ধের সময়ে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়ে দিতে নিজের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এই পরিকল্পনার নাম ছিল ‘এ স্টাডি অব লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস’ যা প্রজেক্ট এ১১৯ নামে পরিচিত। এই প্রজেক্টের মূল ব্যক্তি ছিলেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ড. লিওনার্ড রাইফেল। ৭৩ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি মার্কিন পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বিষয়টি খোলাসা করেন। তিনি বলেন, চাঁদকে আসলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ছিল সেখানে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বের কাছে ক্ষমতা প্রদর্শন করা। বিশেষ করে তত্কালীন রাশিয়াকে ঘাবড়ে দেওয়া।
কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মনে হচ্ছিল, রাশিয়ার কাছে মহাকাশ জয়ের দৌড়ে তারা পিছিয়ে পড়ছে। তাই চাঁদের বুকে বোমা ফাটিয়ে এমন মাশরুম ক্লাউড তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল যেটা পৃথিবী থেকে দেখা যাবে। বিশ্ববাসী যখন পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরণ দেখত তখন সবার মনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতার ব্যাপারে সমীহ তৈরি হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় যে বোমা ফেলা হয়েছিল সেই সাইজের বোমা দিয়েই কাজটা সফলভাবে করা যেত বলে সাক্ষাত্কারে রাইফেল উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে বলেছিলাম যে, এটা বিশাল ব্যয়বহুল হবে এবং চাঁদের মাটিতে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে। সরাসরি চাঁদে গিয়ে গবেষণা করা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু তারা সেটি শুনতে চায়নি।’ চাঁদে পারমাণবিক বোমা পাঠিয়ে সেটি কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব সেই কৌশল ফাঁস করতে তিনি রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদের যে বিন্দুতে আঘাত করার টার্গেট করেছিলাম সেখান থেকে বড়জোর দুই এক মাইল এদিক সেদিক হতো।’ দ্য গার্ডিয়ান
Comments
Post a Comment