ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
সু চির কানাডার নাগরিকত্ব বাতিল
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র সম্মানসূচক নাগরিকত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে কানাডা। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হবার প্রতিক্রিয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের
মঙ্গলবার কানাডার সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে সু চি’র নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। দেশটির সিনেট সদস্যরা সু চি’র সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেন। অং সান সু চি হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি যাকে এ সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিলো কানাডা। দেশটি এখন পর্যন্ত মাত্র ছয় ব্যক্তিকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছিল। ফলে এটি অত্যন্ত বিরল এক সম্মান ছিল সু চির জন্য।
রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য এর আগেও অনেক সম্মাননা হারিয়েছেন অং সান সু চি। তাকে দেওয়া বহু পুরস্কার ও সম্মাননা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সংস্থা। মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯১ সালে সু চি নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতেন। ২০০৭ সালে তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছিল কানাডা। তবে গত বছর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা এবং এ নিয়ে সু চির কোনো বক্তব্য না থাকায় বিশ্বজুড়ে সু চি নিন্দিত হন। এরপর নানা সময় কানাডা সরকার সু চি ও তার সরকারের কড়া সমালোচনা এবং শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে দেশটির সরকারের ওপর বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছিল
Comments
Post a Comment