চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের রসালো দোলনচাঁপা কলার উদ্ভাবন
মোঃ জালাল উদ্দীন, চঁপাইনবাবগঞ্জ:–চাঁপইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় নতুন জাতের সুমিষ্ট কলা দোলনচাঁপা উদ্বোধন করেছেন নতুন উদ্যোক্তা মোঃ অলিউল আরেফিন দোলন। মোঃ অলিউল আরেফিন দোলন শিক্ষিত যুবক সোনার হরিণ চাকরির পিছনে না ছুটে নিজে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কৃষি কাজ বেছে নেন। তার ইচ্ছে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া তার চেষ্টার উদ্ভাবিত ফসল দোলনচাঁপা কলা। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম মাস্টারের ছেলে অলিউল আরেফিন দোলন ২০১৭ সালে সমাজ বিজ্ঞান মাস্টার্স পড়া শেষ করে ৮বিঘা জমিতে খাটো জাতের দেশি কলার আবাদ করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ২ হাজার ৪’শ দেশি খাটো জাতের কলার চারা এনে জমিতে রোপণ করেন । তিনি লক্ষ্য করেন তার রোপণকৃত কলা গাছ গুলোর মধ্যে বেশ কিছু গাছ অন্যান্য গাছ থেকে আলাদা মনে হয় কলাপাকা সময় রং চমৎকার দেখা যায় খেতেও দেশীয় অন্যান্য সব কলার চেয়ে মিষ্টি মনে হয়। তখন থেকে কলার চারা তৈরি করে, কলার আবাদ বাড়িয়ে বর্তমানে ১৮ বিঘা জমিতে একই জাতের কলা চাষ করছেন । তিনি তার উদ্ভাবিত এ কলার নাম নিজের নামের সাথে মিলিয়ে দোলনচাঁপা রেখেছেন। তিনি জানান, তার উদ্ভাবিত দোলনচাঁপা কলার কাদিতে ১৪-১৫টি ছড়া ধরে এবং প্রতি ছড়ায় কমপক্ষে ১২টি করে অর্থাৎ ১৫০ থেকে ১৬০ টি কলা পাওয়া যায়। প্রতিটা কলার ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ১৬০ গ্রাম। কলার রং গাঢ় হলুদ। তার দাবি অনুযায়ী দোলনচাঁপা কলা সিঙ্গাপুরি, কাবলি, মনোহর, মেহের সাগর, শবরী, অমৃতসাগর, অনুপম, চাঁপা, ও কবরী কলার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মিষ্টি। তার জমি লিজ নেওয়া, জমি তৈরি, কলার চারা রোপন, সার ,বালাইনাশক, সেচ দেওয়া ও শ্রমিক সহ প্রতি বিঘায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দোলন তার উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ১লাখ ৫০হাজার টাকা হিসাবে নীট আয় হবে ২৭ লাখ টাকা বলে জানান। তিনি দোলনচাঁপার কলা বিক্রয়ের জন্য ২হাজার চারা তৈরি করেছেন। এ কলার চাষ সম্প্রসারণের জন্য সুলভ মূল্যে চারাগুলো বিক্রি করতে চান। আগ্রহী চাষীদের কলার চারা নেওয়ার জন্য মোবাইল- ০১৭১৩-৭০০৪০৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছেন।
Comments
Post a Comment