ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
The beginning of politics and the politics of Jamaat has been banned twice in this subcontinent country! Jamaat did not want any separate country for Muslims! Know briefly!
রাজনীতির সূচনা এবং এই উপমহা দেশে দু"বার জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়!জামায়াত মুসলমানদের জন্য আলাদা কোন দেশ চায়নি! সংক্ষিপ্ত জানুন!
ব্যাখ্যাঃ ইতিহাস বলছে, জামায়াত এই উপমহা দেশে ইতিমধ্যে দু'বার নিষিদ্ধ হয়েছে একবার পাকিস্তানে, আরেক বার বাংলাদেশে৷ জামায়াতের রাজনীতির সূচনা হয়েছিল ১৯৪১ সালে অবিভক্ত ভারতে সে বছরই জামায়াতে ইসলামী হিন্দ নামে একটি দল প্রতিষ্ঠা করেন সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী৷ দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে যখন ভারত থেকে পাকি স্তান নামের রাষ্ট্রটির উদ্ভব প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন সেই পক্রিয়ার বিরোধিতাই করেছে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ।অর্থাৎ জামায়াত তখন মুসল মানদের জন্য আলাদা কোনো দেশ চায়নি৷ কিন্তু দেশভাগের পর পাকিস্তানেই চলে যান জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী৷ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে তিনি ইসলামী সংবিধান ও ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু করেন৷ অল্প দিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মৃত্যু বরণ করায় হঠাৎ করেই উল্টো পথ ধরে পাকিস্তানের রাজনীতি৷ যে দেশ মওদুদীকে গ্রেপ্তার করল, ১৯৪৯ সালে সেই দেশই জামায়াতের ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা গ্রহণ করে মওদুদীকে মুক্তিও দিয়ে দেয়৷ পাঁচ বছরের মধ্যে মওদুদীর নেতৃত্বে আহমদি য়াদের বিরুদ্ধে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু করে জামায়াত৷ দলটি তখন আহমদিয়াদের অমুস লিম ঘোষণা করার দাবিতে মাঠ গরম করে তোলে৷ লাহোরে বেধে যায় দাঙ্গা৷ দাঙ্গায় কম পক্ষে দু'শ জন আহমদিয়ার প্রাণ যায়৷ সেই দাঙ্গার পর মওদুদীসহ জামায়াতের অনেক নেতা- কর্মীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ লাহোর কাণ্ডের জন্য তখন সামরিক আদালতে মওদুদীর ফাঁসির আদেশও হয়েছিল৷ কিন্তু সে আদেশ আর কার্যকর হয়নি৷ এক পর্যায়ে মৃত্যুদণ্ড লঘু করে যাবজ্জী বন কারাদণ্ড দেয়া হয়, তারপর যাবজ্জী বনের দণ্ডও মওকুফ করে মুক্তি দেয়া হয় মওদুদীকে৷ ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক হিসেবে ক্ষমতায় আসেন আয়ুব খান৷ এসেই তিনি সব ধর্মীয় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেন৷ ফলে জামায়াতও নিষিদ্ধ হয়৷ ১৯৬৪ সালে আয়ুব সরকার মও দুদীকে আবার জেলে পাঠায়৷ সেবছরই আবার মুক্তিও দেয়া হয় তাঁকে৷ ১৯৭১-এ জামায়াত শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাই করেনি, হত্যা, লুট, ধর্ষণ, ঘর- বাড়িতে অগ্নি সংযোগ সহ সব ধরনের যুদ্ধাপরাধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতাকে ঠেকানোর সর্বাত্মক চেষ্টাই চালিয়েছে৷ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে দলটি নিষিদ্ধ হয়৷ কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরানোর নামে জামা য়াতকেও ফিরিয়ে আনেন রাজনীতিতে৷ ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত একেবারে নিরবচ্ছিন্ন ভাবেই ইতিহাসের আস্তাকুঁড় থেকে টেনে তুলে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে আবার মূল স্রোতের রাজনৈতিক দল বানানো হয় ৷আল্লাহ মহান। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান দান করুন।আমিন।
মোঃআবুল কালাম আযাদ,
এডভোকেট,
জজ কোর্ট,লক্ষ্মীপুর!
মোবাঃ০১৭১৬৫৫৫৩১২
Comments
Post a Comment