ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
ভাইরাল ব্লু হোয়েল, নীল তিমির তাড়া
1m alo 26/08/2018
ইন্টারনেট দুনিয়ার কিছু জিনিস ‘ভাইরাল’ হয় বা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ২০১৭ সালে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম নিয়ে এমনই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ধাপে ধাপে প্ররোচিত করে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার কথিত গেম এটি। গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে আলোচিত ছিল ব্লু হোয়েল গেম। এটি মূলত ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি চ্যালেঞ্জ নামে ছড়িয়ে পড়ে। তবে গেম হিসেবে এটি বিনোদনের খোরাকের বদলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
বলা হয়, এর ৫০টি ধাপ রয়েছে। একবার এই গেম খেললে বের হওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে তাদের চাপে রাখতে পরিবারকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। যেমন: ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা, সারা গায়ে আঁচড় কেটে রক্তাক্ত করা, কখনো ভোরে উঠে একাকী ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, রেললাইনে সময় কাটানো, ভয়ের সিনেমা দেখা ইত্যাদি। গত আগস্ট মাস থেকেই ওই গেম নিয়ে ভারতে আলোচনা হচ্ছিল। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, গেম খেলতে গিয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সব কটি আত্মহত্যার পেছনে দায়ী ব্লু হোয়েল নামের একটি গেম। বাংলাদেশে গত অক্টোবর মাসের শুরুতে ঢাকার এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্লু হোয়েল আতঙ্ক ছড়ায়। রাজধানীর এক শিক্ষার্থী ৫ অক্টোবর নিজের শয়নঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। গুঞ্জন ওঠে, সে জীবনঘাতী গেম ব্লু হোয়েল খেলত। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ শুরু হলে ব্লু হোয়েল নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
গত ১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কথিত অনলাইন গেম ব্লু হোয়েলে আসক্ত হওয়ার খবর মেলে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে কাউন্সেলিং করা শুরু করে। এরপর তিনি গেমটি না খেলার জন্য মনস্থির করেন।
ব্লু হোয়েল নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও এর অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। দেশে ব্লু হোয়েলের ‘অস্তিত্ব’ আছে কি না, তা জানতে গত ৯ অক্টোবর বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঠিক এমন অবস্থায় একটি ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মোবাইল ফোন ও ফেসবুকের মাধ্যমে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নামে ছড়ানো বার্তাটিতে বলা হয়, ‘১৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা বাংলাদেশের সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্লু হোয়েল গেম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’ তবে সেই ভুয়া বার্তা ছড়ানোর পর বিটিআরসি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়।
Comments
Post a Comment