ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১২ মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গত ১০ দিনে প্রবল ঝড় ও ব্যাপক বৃষ্টিপাতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চার লাখের বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। অঙ্গরাজ্যটি আরও তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য রোববার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল এখনও ঘূর্ণিঝড়ের ‘অবিরাম মিছিলের’ পথে রয়েছে আর সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
মহাসাগর থেকে আসা ঘন জলীয়বাষ্পের বায়ুবাহিত একটি ব্যাপক স্রোত যাকে ‘বায়ুম-লীয় নদী’ বলা হচ্ছে এবং বোম্ব সাইক্লোন নামে পরিচিত ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিসম্পন্ন নিম্নচাপ চক্র একসঙ্গে সক্রিয় থাকার ফলে গত সপ্তাহজুড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় ধ্বংসাত্মক বন্যা ও রেকর্ড তুষারপাত হয়। সর্বশেষ ঝড়গুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণ হয়ে ওঠা সাগর ও বায়ুমন্ডলীয় তাপমাত্রার ফলাফল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী ওয়েড ক্রোফুট বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড়গুলো অতিরিক্ত শক্তিসম্পন্ন হচ্ছে।” ব্যাপক প্লাবন সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলগুলো দুই দশক ধরে খরায় ভুগছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র গরম, খরা ও বন্যা দেখা দিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ ও অন্যান্য জলাধারগুলোর ফের পরিপূর্ণ করতে বৃষ্টিবহুল বেশ কয়েকটি বছর দরকার। এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম জানান, গত ১০ দিনে আবহাওয়াজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অঙ্গরাজ্যটির কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় রোববার বিকাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় চার লাখ ২৪ হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আরেকটি ঝড় সোমবার আঘাত হানবে বলে অনুমান করা হচ্ছে আর আরেকটি বায়ুম-লীয় নদী (চলতি ঋতুর ষষ্ঠটি) চলতি সপ্তাহের পরের দিকে হানা দেবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। “এর সবচেয়ে খারাপ পরিণতি সামনে দেখবো বলে বলে ধারণা করছি আমরা,” বলেছেন নিউজম।চলতি সপ্তাহের পরবর্তী ঝড়টি আরও বন্যার হুমকি বয়ে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবারের মধ্যে সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালায় দেড় মিটার পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। এসব পরিস্থিতি সামনে রেখে বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন গভর্নর নিউজম। (তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ)
so sad
ReplyDelete