ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
নাসার দৈত্যাকার উপগ্রহ আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে! ছড়াচ্ছে চাঞ্চল্য
ভেঙে পড়তে চলেছে নাসার (NASA) ৩৮ বছরের পুরনো কৃত্রিম উপগ্রহ। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে বলেই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা। তবে আদৌ কি এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু আছে? এবিষয়ে স্বস্তির উত্তর হল, না। নাসা জানিয়েছে, ওই উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ কারও মাথার উপরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা ৯ হাজার ৪০০-তে ১! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কোনও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ক্ষীণতর।
তাছাড়া ৫ হাজার ৪০০ পাউন্ড তথা ২ হাজার ৪৫০ কেজির ওই উপগ্রহের অধিকাংশ অংশই মাটিতে পড়ার আগে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। যেটুকু অংশ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে, তা খুবই কম। ঠিক কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ওই উপগ্রহ? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকা, এশিয়ার মধ্য প্রাচ্য কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব কিংবা পশ্চিম অংশের কোথাও ভেঙে পড়বে নাসার পরিত্যক্ত উপগ্রহটি।
‘দ্য আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট’ তথা EBRS নামের ওই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। যদিও সেটির কর্মক্ষম থাকার কথা ছিল ২ বছর, তবুও ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করে গিয়েছিল উপগ্রহটি। নিয়মিত ওজোন স্তর ও নানা বিষয় নিয়ে তথ্য পাঠিয়ে গিয়েছে ইবিআরএস।
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। যদিও অধিকাংশ রকেটের ভগ্নাংশ বায়ুম-লের সংস্পর্শে এসে জ্বলেপুড়ে যায় কিংবা সমুদ্রের জলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
সম্প্রতি চিনের মার্চ ৫বি রকেটের ভগ্নাংশ ভেঙে পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এবার আলোচনায় পরিত্যক্ত উপগ্রহ। যদিও তা কারও মাথায় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কার্যতই শূন্য, তবু চর্চা রয়েছে নাসার ওই উপগ্রহকে নিয়ে। তথ্যসূত: সংবাদ প্রতিদিন
Ok
ReplyDelete