ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। প্যালেস্টাইনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন ও কেমব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্যালেস্টাইনিদ
‘সুন্দরী’ উট প্রতিযোগিতায়, জয়ী হলো ইরাকের উট
সৌদিতে হয়ে গেলো ‘কিং আব্দুল আজিজ ক্যামেলস ফেস্টিভ্যাল।’ এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩২টিরও বেশি উট। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ইরাকের উট। গত রোববার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ১৫টি উট অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৯টি ইরাকের, ২টি মিশরের এবং ইয়েমেন, লিবিয়া, ব্রিটেন ও ভারতের ১টি করে। ইরাকের ওয়াতবান জাবো আব্বাস আল-রাফি প্রথম হওয়ায় খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি সম্মানিত এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই উৎসব আজ অনেক দেশের অংশগ্রহণে একটি বৈশ্বিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।’ লিবিয়া থেকে উট নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আহমেদ মোহাম্মদ আম্মা কুনেইদি। তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন। মিশরের আমর মোহাম্মদ শেবল আল-জারিয়া এবং লোতফি আল-সাইদ ফৌদা তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছেন। ইরাকের আরেকজন আবদুল্লাহ বিন দাহি আল-তোবি পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন সুন্দরী প্রেতিযোগিতায়। লিবিয়ার উট মালিক সমিতির প্রধান আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন কারণ তরুণদের আরব ঐতিহ্যের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি উৎসবের দায়িত্বে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এই প্রতিযোগিতা অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা কারণ সমস্ত আরবদের হৃদয়ে প্রিয় এই উৎসব এবং আরব ভূমি, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রিটেনের ডেনিস ব্যামফোর্ড বলেন ‘একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে’ কারণ তিনি তার উট ডেরি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেছেন। ব্যামফোর্ড বলেন, তিনি নিজেকে একজন সৌদির মতো অনুভব করছিলেন। তিনি জানান, গতবছর এক বন্ধুর সঙ্গে উৎসবে গিয়েছিলেন এবং আরবের পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইয়েমেনি নাগরিক ওসামা সাইদ আল-জুহাইরি উট নিয়ে এসেছিলেন প্রতিযোগিতায়। তিনি বলেন, এই ইভেন্টটি বিশ্বব্যাপী আরব ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আজ, আমরা ক্যামেল ক্লাবের সভাপতি শেখ ফাহাদ বিন ফালাহ বিন হাতলিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই ইভেন্টে অংশ নিই। কিং আব্দুল আজিজ উট ফেস্টিভ্যাল হলো একটি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন যা প্রতি বছর সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি ক্যামেল ক্লাবের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় সৌদির মূল্যমান একশ মিলিয়ন অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। মধ্যপ্রচ্য তথা উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে উটের গুরুত্ব অপরিসীম। এ অঞ্চলে শত-সহস্র বছর ধরে মাংস ও পরিবহনের জন্য, এমনকি যুদ্ধে উট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উট সৌদি আরবের জাতীয় পশুও উট। তথ্যসূত্র: আরব নিউজ, জাগোনিউজ
Thanks mama
ReplyDelete