মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...
ভালোবাসার নগরে বাড়ি ভাড়ার যন্ত্রণা
ভালোবাসার নগরে বাড়ি ভাড়ার যন্ত্রণা
নিউইয়র্ক নগরে বাসা ভাড়া ক্রমশ লাগামহীন হয়ে উঠেছে। কেবল বাসা ভাড়ার ব্যয় সামাল দিনে না পেরে অভিবাসীদের অনেকেই ছেড়ে যাচ্ছেন ভালোবাসার এই নগর। প্রমাণিত ভালো আয় না দেখাতে পারলে বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না। ফলে নগদ অর্থ নিয়ে আসা অভিবাসীদের থাকতে একটি
বাসার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে। নগদ মজুরি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদেরও একই সমস্যা।
নিউইয়র্ক শহর ‘দ্য সিটি অফ ড্রিমস’ নামে পরিচিত হলেও ঘরবাড়ি সংক্রান্ত ব্যয় অনেকের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। নিউইয়র্কে ঘরবাড়ির ভাড়া ও উচ্চদাম নতুন কিছু নয়। আমেরিকার অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে তুলনা করলে নিউইয়র্কে বাড়িভাড়া সব সময়ই বেশি ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, এই ব্যয় মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। নতুন আসা অভিবাসীরা নিউইয়র্কে ঘর কেনার কল্পনাও করতে পারছেন না। আর কিনলেও মাসিক
আয়ের প্রায় পুরোটাই চলে যায় ঘরের মর্টগেজ দিত। এ জন্য অভিবাসীরা এমন সব শহরে চলে যাচ্ছেন বা স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে বাড়িভাড়া হাতের নাগালে। এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ২৭৭ জন নাগরিক অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছেন। আমেরিকার অন্য যেকোনো শহর থেকে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা বেশি। এরপরে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস ও শিকাগো। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ৪৮ হাজার ৫০০ মার্কিন অন্যান্য শহরে বা অঙ্গরাজ্যে চলে গেছেন। কি হারে এই দাম বাড়ছে? রিয়েল এস্টেট লিস্টিং সাইট জাম্পারে প্রকাশিত এক তথ্যমতে, এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটের গড় ভাড়ার দিক দিয়ে সানফ্রান্সিসকোর পরেই নিউইয়র্কের অবস্থান। এক বেডরুম ঘরের ভাড়া প্রায় ৪.৬ শতাংশ এবং দুই বেডরুম ঘরের ভাড়া প্রায় ৫.১ শতাংশ হারে বাড়ে। ২০১৯ সালের মার্চে অ্যাপার্টমেন্ট লিস্ট থেকে প্রকাশিত এক তথ্যমতে, নিউইয়র্কে দুই বেডরুমের বাসার গড় ভাড়া ২ হাজার ৪৯৯ ডলার এবং এক বেডরুমের বাসার ভাড়া ২ হাজার ৯৮ ডলার। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বের অন্যান্য অনেক বড় শহরের সঙ্গে তুলনা করলেও এই ভাড়া অনেক
বেশি। আমেরিকার অন্যান্য বড় শহর যেমন ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, লস অ্যাঞ্জেলসের বাসাভাড়া নিউইয়র্ক থেকে তুলনামূলক কম। প্রকাশিত তথ্যমতে, ফিলাডেলফিয়ায় দুই বেডরুমের বাসার গড় ভাড়া ১ হাজার ১৬৯ ডলার, এক বেডরুমের ভাড়া ৯৬৮ ডলার। বোস্টনে দুই বেডরুমের বাসার ভাড়া
২ হাজার ১০৩ ডলার, এক বেডরুমের ভাড়া ১ হাজার ৬৯৬ ডলার। লস অ্যাঞ্জেলেসে দুই বেডরুম বাসার ভাড়া ১ হাজার ৭৫২ ডলার, এক
বেডরুমের ভাড়া ১ হাজার ৩৬৪ ডলার। বাসা ভাড়ার পেছনে এত টাকা ব্যয় করেও অনেককে আলো-বাতাসহীন বেসমেন্টে থাকতে হয়, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না বললেই চলে। ওজোন পার্কের বাসিন্দা মারুফ আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই তিনি দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বেসমেন্টে এক বেডরুমের ঘরে থাকেন। কারণ বেসমেন্টে ভাড়া কিছুটা কমে পাওয়া যায়। সন্তানদের লিভিং রুমের বেসমেন্টে ঘুমাতে হয়।
ওজোন পার্কের আরেক বাসিন্দা রেহানা বলেন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে বেসমেন্টে এক বেডরুমের ঘরে থাকেন। সমস্যা হল, বেডরুম ও রান্নাঘর একই সঙ্গে হওয়ায় রান্নার পর গন্ধ থেকে যায়, যার ফলে সমস্যা হয়। জানালা না থাকায় গন্ধ বের হয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
কথা হয় জ্যামাইকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের সঙ্গে। তিনি বললেন, ইতিমধ্যেই তিনি বাফেলোতে বাড়ি কিনে রেখেছেন। শিগগিরই পরিবার নিয়ে সেখানে স্থানান্তরিত হবেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে এত দিন বাড়ি ভাড়ার পেছনে যে অর্থ খরচ করেছেন, তা দিয়ে এত দিনে বাফেলোতে দুই-তিনটি বাড়ির মালিক হয়ে যেতে পারতেন।
নিউইয়র্কে দিন দিন বাড়ি ভাড়া যে হারে বাড়ছে, তাতে অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে বাংলাদেশ থেকে আসার আগেই প্রথমে এমন সব শহরে স্থানান্তর হওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে, যেখানে বাড়িভাড়া হাতের নাগালে আছে।
ভালোবাসার নগরে বাড়ি ভাড়ার যন্ত্রণা
নিউইয়র্ক নগরে বাসা ভাড়া ক্রমশ লাগামহীন হয়ে উঠেছে। কেবল বাসা ভাড়ার ব্যয় সামাল দিনে না পেরে অভিবাসীদের অনেকেই ছেড়ে যাচ্ছেন ভালোবাসার এই নগর। প্রমাণিত ভালো আয় না দেখাতে পারলে বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না। ফলে নগদ অর্থ নিয়ে আসা অভিবাসীদের থাকতে একটি
বাসার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে। নগদ মজুরি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদেরও একই সমস্যা।
নিউইয়র্ক শহর ‘দ্য সিটি অফ ড্রিমস’ নামে পরিচিত হলেও ঘরবাড়ি সংক্রান্ত ব্যয় অনেকের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। নিউইয়র্কে ঘরবাড়ির ভাড়া ও উচ্চদাম নতুন কিছু নয়। আমেরিকার অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে তুলনা করলে নিউইয়র্কে বাড়িভাড়া সব সময়ই বেশি ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, এই ব্যয় মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। নতুন আসা অভিবাসীরা নিউইয়র্কে ঘর কেনার কল্পনাও করতে পারছেন না। আর কিনলেও মাসিক
আয়ের প্রায় পুরোটাই চলে যায় ঘরের মর্টগেজ দিত। এ জন্য অভিবাসীরা এমন সব শহরে চলে যাচ্ছেন বা স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে বাড়িভাড়া হাতের নাগালে। এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ২৭৭ জন নাগরিক অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছেন। আমেরিকার অন্য যেকোনো শহর থেকে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা বেশি। এরপরে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস ও শিকাগো। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ৪৮ হাজার ৫০০ মার্কিন অন্যান্য শহরে বা অঙ্গরাজ্যে চলে গেছেন। কি হারে এই দাম বাড়ছে? রিয়েল এস্টেট লিস্টিং সাইট জাম্পারে প্রকাশিত এক তথ্যমতে, এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটের গড় ভাড়ার দিক দিয়ে সানফ্রান্সিসকোর পরেই নিউইয়র্কের অবস্থান। এক বেডরুম ঘরের ভাড়া প্রায় ৪.৬ শতাংশ এবং দুই বেডরুম ঘরের ভাড়া প্রায় ৫.১ শতাংশ হারে বাড়ে। ২০১৯ সালের মার্চে অ্যাপার্টমেন্ট লিস্ট থেকে প্রকাশিত এক তথ্যমতে, নিউইয়র্কে দুই বেডরুমের বাসার গড় ভাড়া ২ হাজার ৪৯৯ ডলার এবং এক বেডরুমের বাসার ভাড়া ২ হাজার ৯৮ ডলার। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বের অন্যান্য অনেক বড় শহরের সঙ্গে তুলনা করলেও এই ভাড়া অনেক
বেশি। আমেরিকার অন্যান্য বড় শহর যেমন ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, লস অ্যাঞ্জেলসের বাসাভাড়া নিউইয়র্ক থেকে তুলনামূলক কম। প্রকাশিত তথ্যমতে, ফিলাডেলফিয়ায় দুই বেডরুমের বাসার গড় ভাড়া ১ হাজার ১৬৯ ডলার, এক বেডরুমের ভাড়া ৯৬৮ ডলার। বোস্টনে দুই বেডরুমের বাসার ভাড়া
২ হাজার ১০৩ ডলার, এক বেডরুমের ভাড়া ১ হাজার ৬৯৬ ডলার। লস অ্যাঞ্জেলেসে দুই বেডরুম বাসার ভাড়া ১ হাজার ৭৫২ ডলার, এক
বেডরুমের ভাড়া ১ হাজার ৩৬৪ ডলার। বাসা ভাড়ার পেছনে এত টাকা ব্যয় করেও অনেককে আলো-বাতাসহীন বেসমেন্টে থাকতে হয়, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না বললেই চলে। ওজোন পার্কের বাসিন্দা মারুফ আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই তিনি দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বেসমেন্টে এক বেডরুমের ঘরে থাকেন। কারণ বেসমেন্টে ভাড়া কিছুটা কমে পাওয়া যায়। সন্তানদের লিভিং রুমের বেসমেন্টে ঘুমাতে হয়।
ওজোন পার্কের আরেক বাসিন্দা রেহানা বলেন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে বেসমেন্টে এক বেডরুমের ঘরে থাকেন। সমস্যা হল, বেডরুম ও রান্নাঘর একই সঙ্গে হওয়ায় রান্নার পর গন্ধ থেকে যায়, যার ফলে সমস্যা হয়। জানালা না থাকায় গন্ধ বের হয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
কথা হয় জ্যামাইকার বাসিন্দা ওমর ফারুকের সঙ্গে। তিনি বললেন, ইতিমধ্যেই তিনি বাফেলোতে বাড়ি কিনে রেখেছেন। শিগগিরই পরিবার নিয়ে সেখানে স্থানান্তরিত হবেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কে এত দিন বাড়ি ভাড়ার পেছনে যে অর্থ খরচ করেছেন, তা দিয়ে এত দিনে বাফেলোতে দুই-তিনটি বাড়ির মালিক হয়ে যেতে পারতেন।
নিউইয়র্কে দিন দিন বাড়ি ভাড়া যে হারে বাড়ছে, তাতে অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে বাংলাদেশ থেকে আসার আগেই প্রথমে এমন সব শহরে স্থানান্তর হওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে, যেখানে বাড়িভাড়া হাতের নাগালে আছে।
Comments
Post a Comment