How much more torture will Hilsa endure Skip to main content

Featured Post

Portrait of fascism made for a parade in the fine arts burned

  চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ আগুন লেগে পুড়ে গেছে।  শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।  বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন শোভাযাত্রা। এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে।  আর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রায় বহনের জন্য অন্যতম বড় একটি মোটিফ বানানো হচ্ছিল, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর উচ্চতা ছিল ২০ ফুট।  প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’র মোটিফটির সঙ্গে ‘শান্তির পায়রা’র একটি মোটিফও পুড়ে গেছে। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনও আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। ...

How much more torture will Hilsa endure

 bengali movie,bengali full movie,bangla full movie,bangla movie,chiranjit bengali movie,utpal dutta bengali movie,sabyasachi chakraborty bengali movie,choto bou bengali full movie,bengali new movie,bengali letest movie,kanchan mullick movie,new bengali full movie,choto bou bengali movie,chhoto bou bengali movie,buk bhora bhalobasa full movie,prosenjit bangla movie,chiranjit bangla movie,prosenjit bengali movie,ilzaam full movie,bengali family movie

ইলিশ আর কত অত্যাচার সইবে

ডুবোচরে বাধা পেয়ে ইলিশ যাচ্ছে ভিন্ন পথে।ডিম ছাড়ছে ‘অন্য বাড়িতে’।সেই ডিম ফুটে বের হওয়া ছানাপোনারা খাবারের খোঁজে এসে জড়ো হচ্ছে ডুবোচরগুলোয়।আরও নানা অত্যাচারের মুখে ইলিশ।প্রথম আলোর অনুসন্ধানের সারথি হয়ে জেনে নিতে পারেন ইলিশের ধ্বংসকাহিনি। ভোজনপ্রিয় মানুষের কাছে যেমন লোভনীয় ইলিশ, তেমনি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের কাছে মোহনীয় হতে পারে ডুবোচর।আর এই দুটিরই সমাহার দেখতে হলে আসতে হবে ভোলার মেঘনা নদীতে।তবে আগেই বলে রাখা ভালো, আসার পর কিন্তু ছুটে যেতে পারে সব রোমাঞ্চ।

কারণ, এখানে ঘটে চলেছে মন খারাপ করা সব ঘটনা।জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে এবং মানুষের অবিবেচক-অবৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডে সৃষ্টি হচ্ছে ডুবোচর।সেই চরে বাধা পেয়ে ইলিশ যাচ্ছে ভিন্ন পথে।ডিম ছাড়ছে ‘অন্য বাড়িতে’।সেই ডিম ফুটে বের হওয়া ছানাপোনারা খাবারের খোঁজে এসে জড়ো হচ্ছে ডুবোচরগুলোয়।আসছে অন্য মাছের পোনারাও। তখন আবার সেই মাছের লোভে দলে দলে ছুটে আসেন অসাধু মৎস্য কারবারিদের ভাড়াটে জেলেরা।

তাঁরা বাছবিচার ছাড়াই মেতে ওঠেন মাছ শিকারে।ক্ষতিকর নিষিদ্ধ জাল ফেলে ডুবোচরে ও আশপাশের নদীতে আশ্রয় নেওয়া ধরা নিষিদ্ধ এমন সব ছোট মাছ ধরে নিয়ে যান।সঙ্গে বড় ও মাঝারি মাছও ধরা পড়ে।ওই জালে আরও ধরা পড়ে অন্যান্য প্রজাতির মাছ, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের রেণু-পোনা।জালে আটকে সেগুলো অকালেই মারা পড়ে।

রেহাই পায় না চাপিলা-জাটকা-ছোট আকারের ইলিশও।সেগুলো ধরে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় আড়তদারের হাতে। আরও অনেক রকমের অঘটনের কথা শোনা যাবে বিশেষজ্ঞদের মুখে।দেখা যাবে সরেজমিন ঘুরলে।প্রিয় পাঠক, প্রথম আলোর অনুসন্ধানের সারথি হয়ে জেনে নিতে পারেন ইলিশের ধ্বংসকাহিনি।  জলবায়ুর অভিঘাতে ইলিশ মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক বছর ধরে ভরা মৌসুমে নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ উঠছে না।এর প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বৃষ্টির ব্যাকরণ বদলে যাচ্ছে।
বর্ষার বড় সময়জুড়ে বৃষ্টি থাকছে না, আবার হঠাৎ হঠাৎ অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।  

আষাঢ়ের শুরু থেকে (এপ্রিল-মে) যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়, তাহলে ইলিশের পেটে ডিম আসত।কিন্তু সেটা হচ্ছে না।পেটে ডিম না এলে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে উঠবে না।অতিরিক্ত খরা, অনাবৃষ্টি, প্রচণ্ড গরম, পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা অস্বাভাবিক হলেও ইলিশের পেটে ডিম আসে না।এর সঙ্গে নদীর স্রোত ও পানির গভীরতাও সম্পর্কিত।নদীর পানি ডিম ছাড়ার উপযুক্ত হলে ইলিশই বোঝে যে তার নদীতে ওঠার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।তবে বৃষ্টি অতিরিক্ত হলেও ইলিশের ক্ষতি নেই।

bengali movie,bengali full movie,bangla full movie,bangla movie,chiranjit bengali movie,utpal dutta bengali movie,sabyasachi chakraborty bengali movie,choto bou bengali full movie,bengali new movie,bengali letest movie,kanchan mullick movie,new bengali full movie,choto bou bengali movie,chhoto bou bengali movie,buk bhora bhalobasa full movie,prosenjit bangla movie,chiranjit bangla movie,prosenjit bengali movie,ilzaam full movie,bengali family movie

নিষিদ্ধ জালে ইলিশের বংশনাশ আরেক শত্রু বালুডাকাত

মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, নদী থেকে সাগর, সাগর থেকে নদী—ইলিশের চলাচলের পথ (মাইগ্রেটরি রুট) ভরাট হয়ে গেছে; ডুবোচর পড়েছে। ইলিশের পথ যদি আটকে যায়, তাহলে সে উঠবে কীভাবে? আবার ইলিশ ওঠার জন্য কমপক্ষে ১০-১২ ফুট গভীর পানি দরকার। 

কিন্তু মোহনার পথে পলি পড়ে ভরাট হয়ে পানির গভীরতা কোথাও কোথাও ৪-৫ ফুটও হয়েছে। জেলেরাও জানান, সাগরমোহনার গ্যাসফিল্ড নামক স্থান থেকে উত্তরে চাঁদপুর পর্যন্ত মেঘনা নদীজুড়ে অসংখ্য ডুবোচর পড়েছে। তেঁতুলিয়া নদীরও একই অবস্থা। জেলেদের দাবি, এসব ডুবোচরের কারণে নদীতে ইলিশ কম উঠছে। গত ৬ জুন চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নের ফরেস্ট বাজারে ১০-১২ জন প্রবীণ জেলের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, আগের বর্ষাকাল আর এখনকার বর্ষাকালে অনেক পার্থক্য। এখন সেই পরিমাণ মেঘ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা নেই। 

বৃষ্টি হলেও অসহ্য গরম। ঢালচরের মো. শামসুল হক মাঝি (৭২) এখনো সাগরমোহনায় গিয়ে মাছ শিকার করেন। তিনি বলেন, আগে আষাঢ়ের শুরুতেই বৃষ্টি হতো। সেই বৃষ্টি চলত আশ্বিন মাস পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে নদীর পানির লবণাক্ততা কমে পানি মিষ্টি হতো। আবহাওয়ায় একটা ঠান্ডা ভাব ছিল। এখন ভরা বর্ষায় বৃষ্টি কম, বর্ষার শেষ সময়ে তুমুল বৃষ্টি। এতে লবণাক্ততা কমছে না। এসব কারণেই নদীতে ইলিশ উঠছে না। তাঁর সঙ্গে অন্য জেলেরাও একমত প্রকাশ করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিন ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি খেয়াঘাট দিয়ে মেঘনা নদীর মধ্যে জেগে ওঠা মাঝের চরে যাওয়ার পথে দেখা যায়, সদরের কাচিয়া ও দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নের উত্তর-পূর্বাংশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে চরমুনশি, তারও দক্ষিণে নেয়ামতপুর, হাজারীর চরের আশপাশ পর্যন্ত ডুবোচর পড়েছে। মধ্যে সরু লোঙ্গা বা খাল। সেখানে ২০-২২ জন জেলে পিটানো জাল টেনে মাছ শিকার করছেন। 

একই লোঙ্গায় গত শুকনো মৌসুমেও মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও ধনিয়ার ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের নিয়োজিত জেলেদের পাইজাল টেনে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। এসব পিটানো জাল ও পাইজালে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। দেখা যায়, এসব জালে যে মাছ ধরা পড়ছে, তার বেশির ভাগই জাটকা ও ছোট ইলিশ। সঙ্গে অন্য মাছের রেণুপোনা আছে। বড় মাছ খুব কম। স্থানীয় জেলেরা জানান, যদি কখনো জেলেরা গভীর পানিতে ইলিশজাল (ছান্দিজাল) পাতে, আর সেই জাল যদি ভাসতে ভাসতে অবৈধ পিটানো জালের এলাকায় যায়, তবে পিটানো জালের জেলেরা ওই সাধারণ জেলেদের ধাওয়া দেন, মারধর করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায় তুলাতুলি মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে নদীতে যাওয়া জেলেরা একে একে ঘাটে আসছেন মাছ বিক্রি করতে।

কেউ এক হালি, কেউ দুই হালি, মাঝারি কিংবা বড় ইলিশ নিয়ে আড়তদারের বাক্সে ফেলছেন। কোনো আড়তের বাক্স ভর্তি হচ্ছে জাটকায়। জেলে-আড়তদারেরা জানান, এসব জাটকা পিটানো জালে ধরা। তুলাতুলি মাছঘাটের জেলেরা কয়েকটি আড়তের মাছবাক্স দেখিয়ে বলেন, ‘ওই দেখেন, পিটানো জালের একটা সাভারে (মাছ ধরা ট্রলার, জাল, অন্য মালামাল সব মিলিয়ে বলা হয় জাল-সাভার।) সব ছোট ইলিশ পড়ছে; এক-দেড় লাখ টাকা অইবে।’ বেতুয়া লঞ্চঘাট দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যায়, লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের পুবের মেঘনায় ৮ নম্বর চর, মহিষার চর, সাবেক উড়িরচর ও ১২ নম্বর চর এলাকায় কয়েক কিলোমিটারজুড়ে ডুবোচর পড়েছে। 

এসব চরে পিটানো জাল, মশারি জাল ও খরচি জাল পাতা হচ্ছে। মশারি জালের জন্য চরের নেতাদের চাঁদা দিতে হয়। আর খরচি জাল পাতেন স্থানীয় নেতারা। লালমোহন বাত্তিরখালে দেখা যায়, নৌকা থেকে ঝুড়ি ভরে ভরে ঘাটে জাটকা ওঠানো হচ্ছে। অন্য ছোট মাছও রয়েছে। জেলেদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, নদী ও সাগরমোহনায় নিষিদ্ধ জাল পাতেন নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া ও চট্টগ্রামের জেলেরা। তাঁদের কাছে সাধারণ জেলেরা ভিড়তে পারেন না। এ সমস্যা সাগরেও আছে। জেলেরা গভীর সাগরে জাল পেতে বসে থাকলে সাগরের ট্রলিং জাহাজ ইলিশ জাল ছিঁড়ে চলে যায়। কিছু বললে পাইপ দিয়ে গরম পানি মারে।মেঘনা ও সাগরমোহনায় দেখা যায়, কিছু দূর পরপর লোহার ড্রাম, প্লাস্টিকের কনটেইনার, খুঁটির মাথা বের হয়ে আছে। 

এলাকাবাসী বলেন, এগুলো বিন্দিজাল, যার ভালো নাম বেহুন্দি জাল। এ জালের মুখটা হাঁ করে থাকে, যা পায় তা-ই গিলে খায়। আর ত্রিভুজাকৃতি জালের পেছনটা লেজের মতো, যার নাম দুইররা। এ জাল নদীর মধ্যে রড, ইটের বস্তা, বাঁশ-খুঁটি দিয়ে স্থায়ীভাবে বসানো হয়। মুখ দিয়ে যা ঢোকে, তা আর বের হতে পারে না। দেখা যায়, জেলেরা দিনে দুবার লেজটা খুলে নৌকার মধ্যে ঢেলে দেন। তীরে এসে বাছাই করে বড় মাছগুলো বাজারে, আড়তে বিক্রি করেন। ইলিশের জাটকা, অন্য ছোট মাছ ও রেণুপোনাও থাকে। জেলেরা বড় মাছগুলো রেখে ছোট মাছ, জলজ প্রাণী, মাছের খাদ্যকণা হয় রাস্তায় ফেলে দেন, নয়তো রোদে শুঁটকি দেন। জেলেরা জানান, নদীতে তাঁরা সাধারণত কম পানিতে বেহুন্দি পাতেন। কিন্তু সাগরমোহনায় ৬ বাম (এক বামে ৪ হাত) থেকে ২৫ বাম পানির মধ্যেও বেহুন্দি জাল পাতছেন। তাহলে মাছ নদীতে ঢুকবে কীভাবে? প্রকল্প পরিচালক এমদাদুল্যাহ বলেন, ইলিশের জাটকা-পোনা, ছোট ছোট মাছ ও বাচ্চারা ৩-৪ ফুট পানিতে থাকে। গভীর পানির চাপ সহ্য করতে পারে না। 

তাই জোয়ারের সময় খাবারের সন্ধানে বাচ্চাগুলো ডুবোচরে আশ্রয় নেয়। ভাটার সময় প্রভাবশালীরা অবৈধ জালে সেগুলো ধরে ফেলেন। তিনি আরও বলেন, সাগরমোহনার পটুয়াখালীর সোনার চর, ভোলার ঢালচর, নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এলাকাগুলো ইলিশের নদীতে উঠে আসার রুট। এসব মোহনা এলাকায় স্থায়ীভাবে প্রচুর পরিমাণে বড় বড় বেহুন্দি জাল পাতা হচ্ছে। মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতেও অনেক ডুবোচরে অবৈধ জাল পাতা ছিল। তিনি ভোলায় থাকাকালে অবৈধ জালগুলো নষ্ট করে দেন। জাটকার বেশি ক্ষতি করে বেহুন্দি জাল। ২ নম্বরে খুঁটি বা খরচি জাল, তারপর পিটানো জাল, মশারি বা চর ঘেরাজাল, তারপরে পাইজাল, ঘুণ্টি জাল, কোনা জাল, ধরা জাল, অনেক পেছনে কারেন্ট জাল। একটা বেহুন্দি জাল যে পরিমাণ জাটকা ধ্বংস হয়, কারেন্ট জালের সেটা করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। একটা পিটানো জাল একবারে এক হাজার কারেন্ট জালের সমান ক্ষতি করে। এসব ধ্বংসাত্মক অবৈধ জাল কোনো গরিব জেলে পাতেন না।

গরিব জেলে যদি জাটকা ধরেনও সেগুলো সবচেয়ে বড় আকারের। ধনী প্রভাবশালীদের অবৈধ জালেই ইলিশের ডিম-পোনাসহ অন্যান্য মাছের রেণুপোনা ধ্বংস হচ্ছে। ভোলার জেলেরা বলেন, ডুবোচর, অবৈধ জাল ছাড়াও নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না ওঠার আরেক কারণ ভরা মৌসুমে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন। গত মাসের শুরুর দিকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে তাঁরা ইলিশায় বিশাল মানববন্ধন করেছেন। 

এর আগে অনেকবার জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ভোলা জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা যায়, দুই বছর ধরে জেলা প্রশাসন চারটি প্যাকেজে মেঘনা নদীতে বালুমহাল ইজারা দিয়ে আসছে। ইজারাদার প্রতিবছর ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৩২০ ঘনফুট বালু খনন বা উত্তোলন করতে পারবে। কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, বৈধভাবে বালু তোলার পাশাপাশি ভোলার দক্ষিণ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে রাতের আঁধারে চুরি করে লাখ লাখ ঘনফুট বালু কাটা হচ্ছে। 

প্রশাসন প্রায়ই এদের খননযন্ত্র, জাহাজ ও লোকজন জব্দ করে জরিমানা করছে। ভোলা জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মাঝি বলেন, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী ইলিশের প্রধান প্রজননক্ষেত্র ও নার্সারি, যেখানে ইলিশের ডিম ফুটে বাচ্চা বড় হয়, সেখানে কীভাবে বালু উত্তোলন হয়? জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন ও জাটকা বেড়ে ওঠার সময় বালু তোলা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় মৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্...

The country's largest Friday prayer was held at Biswa Ijtema Maidan in Tongi

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ  মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার শুরুর দিনটা শুক্রবার পড়েছে। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ।  তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ইজতেমা ময়দানে জুমার আজান হয়। দেড়টায় শুরু হয় খুতবা।  এরপর ১টা ৫০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৫৫ মিনিটে। জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।  ইজতেমার নিজামউদ্দিন অনুসারী দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  শুক্রবার বাদ ফজর থেকেই দ্বীন, ইমান এবং আখলাকের ওপর ইজতেমার দেশ-বিদেশের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করছেন।  তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

Trump criticized for controversial comments again

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সব সুইং স্টেটে এগিয়ে ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশ এখন নজর রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  এবারের নির্বাচনে চমক দেখিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন?  নাকি ইতিহাস সৃষ্টি করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হবেন?  এর উত্তর নির্ধারিত হতে পারে কিছু রাজ্যের ফলাফলে।  এগুলো ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।  এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে সুইং স্টেটের দিকে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ইন্টেল পরিচালিত জরিপের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব সুইং স্টেটে জনমত জরিপে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প  জরিপে প্রায় ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন, তারা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।  সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, সুইং স্টেটগুলোতে ডেমোক্...