বুধবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা বুধবার (১ মে) থেকে তাপমাত্রা কমে তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার ছিল চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সবচেয়ে গরমতম দিন। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকাতেও ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বা
একটি সিরিঞ্জে 30 জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিন
ভারতের মধ্য প্রদেশে এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ৩০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া
হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত
করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজ্যের সাগর জেলার একটি স্কুলে ওই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে
একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ একজনকে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দিতে হবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে দুইশ কোটি ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এইচআইভির মতো
মারাত্মক রোগের বিস্তার এড়াতে ভারতে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সরঞ্জামের সংকটের কারণে আগেও একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দিতে দেখা গেছে। এদিকে ৩০ শিক্ষার্থীকে এক সিরিঞ্জ দিয়ে টিকা দেওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
জিতেন্দ্র রাই জানিয়েছেন, তাকে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি মাত্র সিরিঞ্জ
দিয়েছিল। আর তিনি নির্দেশনা অনুযায়ীই কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের বিষয়টি চোখে পড়ার পরেই তার স্কুল কর্তৃপক্ষটি জানান। যখন রাজ্য কর্মকর্তারা ওই স্কুলে পৌঁছান তখন জিতেন্দ্র রাইকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিরোধী কংগ্রেসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় রাজ্যে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া
তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৯৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কমপক্ষে টিকার একটি ডোজ
নিয়েছেন। অপরদিকে ৯০ শতাংশ মানুষ টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন। এদিকে বুধবার দেশটিতে নতুন করে ১৮ হাজার ৩১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ৫৭ জন।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ
Comments
Post a Comment