মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...
একটি সিরিঞ্জে 30 জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিন
ভারতের মধ্য প্রদেশে এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ৩০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া
হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত
করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজ্যের সাগর জেলার একটি স্কুলে ওই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে
একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ একজনকে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দিতে হবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে দুইশ কোটি ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এইচআইভির মতো
মারাত্মক রোগের বিস্তার এড়াতে ভারতে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সরঞ্জামের সংকটের কারণে আগেও একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দিতে দেখা গেছে। এদিকে ৩০ শিক্ষার্থীকে এক সিরিঞ্জ দিয়ে টিকা দেওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
জিতেন্দ্র রাই জানিয়েছেন, তাকে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি মাত্র সিরিঞ্জ
দিয়েছিল। আর তিনি নির্দেশনা অনুযায়ীই কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের বিষয়টি চোখে পড়ার পরেই তার স্কুল কর্তৃপক্ষটি জানান। যখন রাজ্য কর্মকর্তারা ওই স্কুলে পৌঁছান তখন জিতেন্দ্র রাইকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিরোধী কংগ্রেসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় রাজ্যে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া
তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৯৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কমপক্ষে টিকার একটি ডোজ
নিয়েছেন। অপরদিকে ৯০ শতাংশ মানুষ টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন। এদিকে বুধবার দেশটিতে নতুন করে ১৮ হাজার ৩১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ৫৭ জন।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ
Comments
Post a Comment