চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ আগুন লেগে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন শোভাযাত্রা। এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে। আর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রায় বহনের জন্য অন্যতম বড় একটি মোটিফ বানানো হচ্ছিল, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর উচ্চতা ছিল ২০ ফুট। প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’র মোটিফটির সঙ্গে ‘শান্তির পায়রা’র একটি মোটিফও পুড়ে গেছে। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনও আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। ...
একটি সিরিঞ্জে 30 জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিন
ভারতের মধ্য প্রদেশে এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ৩০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া
হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত
করা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজ্যের সাগর জেলার একটি স্কুলে ওই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে
একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ একজনকে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দিতে হবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে দুইশ কোটি ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এইচআইভির মতো
মারাত্মক রোগের বিস্তার এড়াতে ভারতে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সরঞ্জামের সংকটের কারণে আগেও একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই টিকা দিতে দেখা গেছে। এদিকে ৩০ শিক্ষার্থীকে এক সিরিঞ্জ দিয়ে টিকা দেওয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
জিতেন্দ্র রাই জানিয়েছেন, তাকে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি মাত্র সিরিঞ্জ
দিয়েছিল। আর তিনি নির্দেশনা অনুযায়ীই কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের বিষয়টি চোখে পড়ার পরেই তার স্কুল কর্তৃপক্ষটি জানান। যখন রাজ্য কর্মকর্তারা ওই স্কুলে পৌঁছান তখন জিতেন্দ্র রাইকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিরোধী কংগ্রেসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় রাজ্যে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া
তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৯৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কমপক্ষে টিকার একটি ডোজ
নিয়েছেন। অপরদিকে ৯০ শতাংশ মানুষ টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন। এদিকে বুধবার দেশটিতে নতুন করে ১৮ হাজার ৩১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ৫৭ জন।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ
Comments
Post a Comment