ইউক্রেনের চারটি ভূখণ্ড রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার পুতিনের ঘোষণা
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দখলকৃত চারটি ভূখন্ডকে রাশিয়ায় যুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুতিন এই ঘোষণা দেন। পুতিনের ঘোষণার ফলে ইউক্রেনের দখলকৃত খেরসন, জাপোরিজ্জিয়া, ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করবে রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনে দখলকৃত চারটি এলাকায় কথিত গণভোট আয়োজন করেছে রাশিয়া। এই চারটি এলাকা ইউক্রেনের ১৫ শতাংশ ভূখন্ড। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের অনুপস্থিতিতে আয়োজিত গণভোটে ৯৯ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে দাবি মস্কোর। ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই গণভোটকে মস্কোর ‘সাজানো’ এবং অবৈধ বলে দাবি করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের খেরসন এবং জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলকে ‘স্বাধীনতার’ স্বীকৃতি দিয়ে ডিক্রি জারি করেছেন পুতিন। আর ফেব্রুয়ারিতে ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ভাষণে পুতিন ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযানে নিহত সেনারা রাশিয়ার বীর। তারা এই ভূখন্ডের জন্য লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছে।
পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি নিশ্চিত, কেন্দ্রীয় পরিষদ আমাদের নতুন চারটি এলাকাকে সমর্থন করবে। কারণ, এটি লাখো মানুষের ইচ্ছা। তিনি দাবি করেছেন, গণভোটে যারা ভোট দিয়েছেন, এই ফল তাদের প্রাকৃতিক অধিকার। এই ভূখন্ডের জন্য রাশিয়ার কয়েকটি প্রজন্ম লড়াই করেছে। অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী চারটি অঞ্চলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
পুতিন বলেছেন, তিনি চান কিয়েভ ও পশ্চিমারা জানুক ডনবাস অঞ্চলের
বাসিন্দারা রাশিয়ার নাগরিক হয়েছে। কিয়েভ কর্তৃপক্ষের উচিত জনগণের ইচ্ছাকে
শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্মান করা। তার দাবি, এটিই শান্তির একমাত্র উপায়। যেকোনও উপায়ে রাশিয়া নিজেদের
ভূখন্ডে রক্ষা করবে। ভূখন্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করবে। তিনি আরও বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত শহর ও গ্রামগুলো পুনর্র্নিমাণ করবে রাশিয়া
এবং অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন
Comments
Post a Comment