Three women in Liz Truss' mattress fight Skip to main content

Featured Post

Most of Trump's tariffs are illegal, US appeals court rules

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...

Three women in Liz Truss' mattress fight

 লিজ ট্রাসের গদির লড়াইয়ে তিন নারী

Three women in Liz Truss' mattress fight
 
 
 


৪৫ দিন ক্ষমতায় থাকার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন লিজ ট্রাস। বিতর্কিত মিনি-বাজেটের খড়্গই তার গদি হারানোর মূল কারণ। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত নিজ পদে দায়িত্ব পালন করবেন কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা। এর মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে নির্বাচন হবে দেশটিতে। ইতোমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ ছয়জনের নাম পাওয়া গেছে এ পদে, যার মধ্যে তিনজনই নারী। এক নজরে দেখে আসার যাক কারা তারা লিজ ট্রাসের গদিতে বসতে মুখিয়ে আছেন   হাউস অব কমন্সের নেত্রী ও প্রিভি কাউন্সিলের লর্ড প্রেসিডেন্ট পেনি মর্ডান্ট। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় পেনি নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জোরালো সমর্থন আদায় করেছিলেন সহকর্মী এমপিদের কাছ থেকে। কিন্তু শেষ দিকে সমর্থনের অভাবে বাদ পড়েন। বর্তমানে নতুন রাজার অ্যাকসেসন কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করছেন তিনি। ২০১৯ সালে সালে যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পেনি মর্ডান্ট, যা ইতিহাসে রূপ নেয়। অর্থাৎ এ পদে আগে কোনো নারী দায়িত্ব পালন করেননি। প্রধানমন্ত্রী পদ পেতে এমপিদের মধ্যে জন ল্যামন্ট, মারিয়া মিলার, বব সিলি এবং ড্যামিয়ান কলিন্সের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন পেনি। উল্লেখ্য, ব্রিটেনের পার্লামেন্টে এক জরুরি প্রশ্নে লিজ ট্রাসকে সমর্থন দিয়েছিলেন পেনি। যার বদৌলতে সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন ব্রিটেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানও। গত বুধবার তিনি নিজের পদত্যাগ পত্র লিজ ট্রাসকে বুঝিয়ে দেন। এমনটি লিজ যাতে পদত্যাগ করেন, সে চাপও সৃষ্টি করেছিলেন সুয়েলা। বিবিসি বলছে, ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে সুয়েলার পদত্যাগ সরকারি নিয়মের প্রযুক্তিগত লঙ্ঘন। তার পদত্যাগটি হয় ক্ষোভের কারণ থেকে। যার পেছনে রয়েছে অভিবাসন নিয়ে মতবিরোধ। তিনি তার পদত্যাগপত্রে ‘একটি ভুল করা ও তা স্বীকার করার কথা’ উল্লেখ করেন। লিজ ট্রাসের সরকারে থাকা অবস্থায় নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকা অধিকাংশ প্রতিশ্রæতিই পূরণ করতে পারছে না বলেও দাবি তুলেছিলেন তিনি। সুয়েলা ব্রেক্সিট সমর্থক হিসেবে বেশ পরিচিত। কারণ, তিনি তখন বরিসকে সমর্থন করেছিলেন। তৎকালীন সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। বরিসের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হতে প্রতিদ্ব›িদ্বতাও করেন সুয়েলা। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে বাদ পড়েন। লিজ ট্রাসের গদি নেওয়ার দাবিদার তৃতীয় নারী কেমি ব্যাডেনোচ। তাকে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, বরিসের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনে তিনিও লড়েছেন। বাদ পড়ে গেলেও নিজের প্রোফাইলকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি। কেমি ব্যাডেনোচ একজন কণিষ্ঠ মন্ত্রী। তিনি সিনিয়র কনজারভেটিভ মাইকেল গভের সমর্থন পেয়েছিলেন। তথাকথিত ‘উইক’ সংস্কৃতির ওপর তার আক্রমনাত্বক কথাবার্তা অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনার রসদ জোগায়। কেমি ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন ঋষি সুনাক ও বেন ওয়ালেস। বরিস জনসনও আরও একবার এ পদে নিজের নাম লেখাতে চাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বসিরের পদত্যাগের পর তার আসনে বসতে চাইছিলেন ঋষি সুনাক। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের দ্বিতীয় রাউন্ডে টোরি নেতারা লিজকে পছন্দ করেন। লিজ ট্রাসের ট্যাক্স পরিকল্পনা অর্থনীতির ক্ষতি করবে বলেও সতর্ক করেছিলেন ঋষি। কিন্তু তারপরও ২১ হাজার ভোটে লিজের বিপরীতে হেরে যান তিনি। ২০১৫ সালে রিচমন্ডের নর্থ ইয়র্কশায়ার থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এ ভারতীয় বংশোদ্ভুত। ২০২০ সালে ফেব্রæয়ারিতে তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। কনজারভেটিভ এমপি অ্যাঞ্জেলা রিচার্ডসন ঋষিকে সমর্থনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও হতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, ব্রিটিশ এমপিরা তার নেতৃত্ব নিরাপদ মনে করেন। সে হিসেবে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন বেন। এখানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে টোরি এমপিদের নতুন নেতা নিয়ে বিভক্তির বিষয়টি। ওয়েলস আলোচনায় আসেন ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে। তার অধীনে কিয়েভকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। বেন বিরোধিতা করতেন ব্রেক্সিটের। কিন্তু তারপরও বরিসের একজন প্রধান সমর্থক ছিলেন তিনি। যে কারণে ২০১৯ সালে মন্ত্রিসভায় আসন পান তিনি। রাজনীতিবিদ হওয়ার আগে ইউরোপের কয়েকটি দেশে সেনা সদস্য হিসেবে কাজ করেন বেন। জার্মানি, সাইপ্রাস, বেলিজ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা চালাতে শত্রুপক্ষের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেন তিনি। সর্বশেষ নির্বাচনেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু তিনি লিজ ট্রাসকে সমর্থন দেন। ট্রাস ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হয়। কিন্তু বেন ওয়ালেস স্বপদেই থেকে যান।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, বাংলানিউজ

Comments

Popular posts from this blog

Trump criticized for controversial comments again

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সব সুইং স্টেটে এগিয়ে ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশ এখন নজর রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  এবারের নির্বাচনে চমক দেখিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন?  নাকি ইতিহাস সৃষ্টি করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হবেন?  এর উত্তর নির্ধারিত হতে পারে কিছু রাজ্যের ফলাফলে।  এগুলো ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।  এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে সুইং স্টেটের দিকে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ইন্টেল পরিচালিত জরিপের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব সুইং স্টেটে জনমত জরিপে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প  জরিপে প্রায় ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন, তারা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।  সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, সুইং স্টেটগুলোতে ডেমোক্...

The country's largest Friday prayer was held at Biswa Ijtema Maidan in Tongi

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ  মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার শুরুর দিনটা শুক্রবার পড়েছে। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ।  তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ইজতেমা ময়দানে জুমার আজান হয়। দেড়টায় শুরু হয় খুতবা।  এরপর ১টা ৫০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৫৫ মিনিটে। জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।  ইজতেমার নিজামউদ্দিন অনুসারী দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  শুক্রবার বাদ ফজর থেকেই দ্বীন, ইমান এবং আখলাকের ওপর ইজতেমার দেশ-বিদেশের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করছেন।  তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্...