Skip to main content

Featured Post

Sheikh Hasina's resignation letter' is viral on social media

 শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন দীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সম্প্রতি এক ব্যক্তির সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনে শেখ হাসিনা দাবি করেছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেননি। তিনি যেকোনো মুহূর্তে দেশে ঢুকে পড়বেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ও একাধিকবার দাবি করেছেন যে, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।  তাছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দাবি করছেনই।  এমতাবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। এই নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শেখ হাসিনার পদত্যাগের একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।চিঠিটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে লেখা।  ওই চিঠিতে শেখ হাসিনা লেখেন, আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আর কোনো প্রাণহানি এড়ানোর জন্য আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি।   তিনি আরও লেখেন, এ ঘটনাগু

Anti-discrimination student movement to decide on political party formation 'as per situation'

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী’

political donation,political contribution,democratic party,political strategy,politics,political messaging,political campaigns,politics news,early american history,student protest in bangladesh,bangladesh situation,mcq on polity,bangladesh student protest,bangladesh student protests,bangladesh violence on hindu,sarjan shah on the ranveer show,1988 democratic national convention bill clinton,1988 democratic national convention speeches;

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে নানা মহলে আলোচনা চলছে। যদিও শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্মের অগ্রভাগে থাকা সমন্বয়কেরা বলছেন, রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তাঁরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী’। তাঁরা আপাতত ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ’ ও একটা ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ জন্য কাজ করছেন।তবে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে যে তাদের আগ্রহ রয়েছে, সেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আকরাম হুসাইনের বক্তব্যে অনেকটাই স্পষ্ট। তিনি গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এখন প্রধানতম লক্ষ্য রাষ্ট্রের সংহতি বা রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখা। ধ্বংস করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো 
পুনর্গঠন।এরপর ইনশা আল্লাহ অবশ্যই আমরা রাজনীতি করব, রাজনীতির দিকেই এগোব।’ আকরাম হুসাইন বলেন, রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি সময়ই বলে দেবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরিস্থিতি অনুযায়ী। 

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। এক মাসের মাথায় তারা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটায়। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদেও রয়েছেন তাদের দুজন সমন্বয়ক।  উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই সমন্বয়কের একজন হলেন নাহিদ ইসলাম। তাঁদের রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এ বিষয়ে গতকাল তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। 


তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে যে জাতীয় ঐকমত্য ও স্পিরিট তৈরি হয়েছে, সেটিকে আমরা ধরে রাখতে চাই। রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। সেটার ভিত্তিতে পরিস্থিতিই বলে দেবে আমরা রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাব কি না। কিন্তু এ মুহূর্তে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই।’ নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনে আহতরা এখনো সুস্থ হননি, শহীদদের পরিবারকে আমরা যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিতে পারিনি। 


এগুলো আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। পরে দেশ গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়টি রয়েছে।’ তবে তিনি এ–ও বলেন, একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বা একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য ঐকমত্য তৈরি করতে তাঁরা কাজ করছেন। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনাটি ব্যাপকভাবে সামনে আসে গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের পর। 


ওই প্রতিবেদনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলমকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, তাঁদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেদিন সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মাহফুজ আলম বলেন, রয়টার্সে তাঁর বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, তাঁরা রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে এখনই ভাবছেন না। 


ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য তাঁরা কাজ করছেন। রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়েও কাজ করবেন। এ কাজে অন্তত এক মাস লাগবে। তাঁরা দল বা ব্যক্তি নয়, ব্যবস্থার সংস্কার চান। অবশ্য রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে উল্লেখ করেন আকরাম হুসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও রাষ্ট্রের সংহতি আমাদের লক্ষ্য। 


দ্বিতীয় স্বাধীনতা যেন জনগণ ভোগ করতে পারে এবং সবাই যেন প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারে, সে জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার এই স্বাদ যাতে আমরা দীর্ঘ মেয়াদে নিতে পারি, সে জন্যও আমরা চেষ্টা করব।’ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আসলে কী বোঝাতে চাইছে, তা নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে। 


এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আকরাম হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অর্থ হচ্ছে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে ধ্বংস করেছে যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া এখন যদি নির্বাচন হয়, জনগণ কোথাও সমান সুযোগ পাবে না। দেখা যাবে প্রশাসন–পুলিশ কোনো একটা পক্ষ নেবে, সেই পক্ষেই সবকিছু চলে যাবে  সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য আমরা অপেক্ষা করব।


Comments

Popular posts from this blog

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্ছে। অন্যদিকে পেটের ভাত জোটাতে রাস্