ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে আ.লীগের জয়জয়কার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার দেখা গেছে। বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ১২২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম জানা গেছে। তাদের মধ্যে ১০১ জনই আওয়ামী লীগের। জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনেকেই হয়েছেন বহিষ্কৃত। রাজশাহী বিভাগ : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার, কালাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, আক্কেলপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকসেদ আলী মণ্ডল, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন, গাবতলীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায়, নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজাহার আলী, পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সা
উপদেষ্টা পরিষদেও চমক আসছে?
মন্ত্রিসভায় যেরকম চমক দেয়া হলো। দলের হেভিওয়েট নেতারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন। তেমনি কি এবার উপদেষ্টা মণ্ডলীতেও বড় ধরনের চমক আসবে? আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তখন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদ এত শক্তিশালী ছিল না। কেবল একজন রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। যিনি রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৮ সালে সরকার গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রী একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। সেই উপদেষ্টা পরিষদে এইচটি ইমাম, ড. আলাউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ড. মশিউর রহমান, ড. গওহর রিজভী, তৌফিক এলাহিসহ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়ে আসেন। সেই সময় বিতর্ক উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল উপদেষ্টা পরিষদ প্যারালাল মন্ত্রিসভা কিনা। উপদেষ্টা পরিষদ মন্ত্রিদের চেয়েও ক্ষমতাবান ব্যক্তি কিনা।
দেখা গেছে, উপদেষ্টাদের অনেক সময় মন্ত্রীদের নিয়মিত বৈঠকে অংশগ্রহণ নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে উপদেষ্টাদের ক্ষমতা সীমিত করা হলেও উপদেষ্টা পরিষদ একটি কার্যকর এবং ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেছে। ২০১৪ সালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর উপদেষ্টা পরিষদের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। কেবলমাত্র অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী এবং আলাউদ্দীন আহমেদকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ দেয়া হয়। ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তবে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম অনেকটা সীমিত হয়ে যায়।
প্রশ্ন হলো যে নতুন সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ আজ যাত্রা করছে। তাতে কি আগের উপদেষ্টারাই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নাকি উপদেষ্টা পরিষদেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে?
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা পরিষদেও একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষ করে যে সমস্ত উপদেষ্টাদের কার্যক্রম, ভূমিকা দৃশ্যমান হয়নি। তাদের কার্যক্রম ফলপ্রসু হয়নি। তাদের বদলে নতুন উপদেষ্টা আনার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণের পরই দেখা যাবে তার উপদেষ্টা পরিষদে কোন পরিবর্তন আনছেন কিনা। বা সেখানে কোন নতুন মুখ আসছে কিনা।
Comments
Post a Comment