কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাইলেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসনের ৫০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ দাবি জানান বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম। তিনি বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটাও আমাদের দেখতে হবে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচি...
ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত ১৪২, আহত ৩২৪
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪২ জন নিহত ও ৩২৪ জন আহত হয়েছেন।
৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকে ৯ জুন রোববার পর্যন্ত ১১ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সংঘটিত ৯৫টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়ক ও নৌপথে ঈদ যাতায়াত স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা পায়নি। সোমবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ যাতায়াত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি এই সংগঠন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি
৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকে ৯ জুন রোববার পর্যন্ত ১১ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সংঘটিত ৯৫টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়ক ও নৌপথে ঈদ যাতায়াত স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা পায়নি। সোমবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ যাতায়াত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি এই সংগঠন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কে বড় ধরনের যানজট ছিল না। নৌ ও রেলপথ ছিল দুর্ঘটনামুক্ত। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনা ভালো থাকায় পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল নিরবিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও ছিল স্বাভাবিক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদ-সার্ভিসে পর্যাপ্তসংখ্যক লঞ্চ থাকায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে নৌযোগাযোগ স্বাভাবিক ও যাত্রীভোগান্তি কম ছিল। তবে এক শ্রেণির নৌশ্রমিক ও কর্মচারী ডেকের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদযাত্রার প্রথম দিন থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ঈদের আগে ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-পাটুরিয়া ও ঢাকা-ময়মনসিংহসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে মাত্রাতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। ঈদ-ফেরত যাত্রীদের কাছ থেকেও একইভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও তা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এমনকি লঞ্চ ও ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া, ঈদের ছুটিতে রাজধানীর মধ্যে চলাচলরত বাস ও অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিন গুণ ভাড়া আদায় করেছে। উবার ও পাঠাও এর মতো ইন্টারনেটভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রী বহনকারী কোম্পানিগুলোও ঈদ-ছুটিতে তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের আগে ৩ জুন সোমবার শেষ কর্মদিবস থাকলেও এর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক এবং রোববার শবে কদরের ছুটি ছিল। এ কারণে ঈদপূর্ব সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত ঈদযাত্রা শুরু হয়। ওই দিন সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় নয়জন নিহত হয় ও আটজন আহত হয়। ৩১ মে ছয়টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে ছয়জন ও সাতজন। ১ জুন ১১টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৩১। ২ জুন ১৫টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। ৪ জুন দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬ জন ও ৬২ জন। ৫ জুন ঈদুল ফিতরের দিন ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। ৬ জুন নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩। ওই দিন দুর্ঘটনা ঘটেছে আটটি। ৭ জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ১১ জনের, আহত হয়েছেন ১৮ জন। ৮ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। ৯ জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচ ও ২৪।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, তাদের ঈদ-যাতায়াত পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ছয়টি প্রধান কারণ চিহ্নিত হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. ঈদে বিভিন্ন মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে তীব্র যানজটের কারণে ব্যয় হওয়া দীর্ঘ সময় পুষিয়ে নিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। ২. দীর্ঘ ছুটির কারণে সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা। ৩. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের বারবার তাগিদের কারণে চালকের অন্যমনস্কতা। ৪. অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাড়তি ট্রিপ দেওয়ার কারণে চালকের সাময়িক শারীরিক ও মানসিক অবসন্নতা। ৫. দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ওভারটেকিংয়ের ক্ষেত্রে চালকদের ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা। ৬. বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল।তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি
sad
ReplyDelete