বলছে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য : ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা গুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর নতুন তথ্যে বিষয়টি সামনে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। বুধবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অবশ্য ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল চূড়ান্ত করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রশাসনের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে যে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালাবে কি না, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলেও জানায় সিএনএন। এদিকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া ইসরায়েলি দূতাবাস এবং প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএনএনের প্রতিবেদনে এক গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, “সাম্প্রতিক কয়ে...
যুদ্ধের ভয়ে, তাইওয়ানিজরা বন্দুক চালাতে শেখে
![]() |
চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধ দেখে তাইওয়ানবাসীদের শঙ্কা, বড় প্রতিবেশী দেশ যখন-তখন তার ছোট প্রতিবেশীর ওপর হামলা চালাতে পারে। তাদের অনেকেই মনে করেন, চিনও যে কোনো সময় তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে। আর এ জন্য প্রস্তুতি এখনই শুরু করা ভালো৷ সেই ভাবনায় এরইমধ্যে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণে নাম লিখিয়েছেন অনেকে৷ জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া৷ তারপর থেকে তাইওয়ানবাসীদের মাঝে বন্দুক প্রশিক্ষণে আগ্রহ যে হারে বাড়ছে এমন আগে কখনো দেখা যায়নি৷ রাজধানী তাইপের অদূরের পোলার লাইট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী মাক্স-চিয়াং জানালেন, জীবনে কোনোদিন বন্দুক হাতে নেননি, এমন অনেকেই আসছেন বন্দুক চালানো শিখতে৷ সংখ্যাটা নাকি আগের তুলনায় তিন থেকে চারগুণ! ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে তাইওয়ানের প্রায় সব বয়স আর পেশার মানুষের মাঝেই বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণে আগ্রহ বেড়েছে৷ বলা হচ্ছে, ট্যুর গাইড থেকে ট্যাটু আর্টিস্ট পর্যন্ত মোটামুটি সবাই বিশেষ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে গুলি চালানোয় দক্ষ হতে চাইছেন৷ ইউক্রেন পরিস্থিতি তাইওয়ানের রাজনীতিবিদদের বড় একটা অংশকেও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে৷ তাদের কেউ কেউ য্দ্ধুপরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন৷ তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতা লিন পিং-ইউ জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হলে যাতে কিছুদিন ঘরে নিরাপদে দু-মুঠো খেয়ে বাঁচতে পারেন তা নিশ্চিত করতে শুকনো খাবার এবং ব্যাটারির মতো কিছু জিনিস জমিয়ে রেখেছেন৷ জনগণকেও এমন প্রস্তুতি রাখতে বলেছেন তিনি৷ ট্যাটু আর্টিস্ট সু চুন বললেন, বেশির ভাগ মানুষই যুদ্ধে যেতে চায় না৷ যুদ্ধ আমিও চাই না৷ কিন্তু এখন যা যা ঘটতে দেখছি, তাতে যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি আমি নিয়ে রাখবো৷
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ
প্রশিক্ষণ থাকা উচিত
ReplyDelete