BNP in the back field, several candidates in the League, hundreds of leaders are expecting nomination in the field of Rajshahi.
নেপথ্যে মাঠে বিএনপি, আ’লীগে একাধিক প্রার্থী রাজশাহীর মাঠে মনোনয়ন প্রত্যাশায় শ’খানেক নেতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দোরগোড়ায়। চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মাঠে কাজ করছেন।
একই সাথে বিভিন্ন আসনে একাধিক প্রার্থী প্রচারনা চালাচ্ছেন নিজেদের পক্ষে। অন্যদিকে আন্দোলনের সাথে সাথে মাঠও গুছিয়ে নিচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বললেও পরিস্থিতি অনুকূল মনে করলে দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচনে যেতে পারে বিএনপি।
এ জন্য নেপথ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটির নেতারা। এর মধ্যে বসে নেই যুদ্ধপরাধীর দায়ে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী। তাদের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল হলেও স্বতন্ত্র হিসেবে রাজশাহীর সবকটি আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়াবে, এ জন্য তারা প্রস্তুতিও নিচ্ছে। জাতীয় পার্টিও এবার কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের শ’খানেক প্রার্থী মাঠে সক্রিয় আছেন। তারা নিজ নিজ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। তানোর ও গোদাগাড়ী মিলে রাজশাহী-১ আসন।
এই আসনের বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। তাকে হঠাতে মরিয়া আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা। এবার এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও তানোরের মুণ্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া, চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি), জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আখতার ও পুলিশের সাবেক ডিআইজি মতিউর রহমান।
দুয়েকজন বাদে তানোর ও গোদাগাড়ীতে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে মাঠে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। এই আসনে বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থীরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হক ও তার ভাই মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন, তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত শিল্পপতি অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা শাহাদৎ হোসেন শাহীন ও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান মারকনি।
এছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস এবং জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মজিবুর রহমান ভোটে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিন রাজশাহী-২ (সদর) আসন।
এ আসনের বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এছাড়াও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা। বিএনপি থেকে এই আসনে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক সিটি মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা, সাবেক বিএনপি নেতা সাঈদ হাসান।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগরের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন। এছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি রাগিব আহসান মুন্না, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি এমাজউদ্দিন মণ্ডল ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন দলীয় প্রার্থী হতে পারেন। পবা ও মোহনপুর নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৩ আসন।
এ আসনের বর্তমান এমপি আছেন আয়েন উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আছে দলীয় নেতাকর্মীদের। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল আলম বাবু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন এবং প্রকৌশলী শামসুল আলম। এছাড়াও বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল হক মিলন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রায়হান, সাবেক মন্ত্রী কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থির, সাবেক এমপি জাহান পান্না।
তবে বিএনপির হয়ে মাঠে এই আসনে মাঠে আছেন অ্যাড. শফিকুল হক মিলন। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সম্প্রতি কারাগারে থাকা বিএনপির এই নেতার পক্ষে কাজ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। শুধুমাত্র বাগমারা উপজেলাকে ঘিরে গঠিত রাজশাহী-৪ আসন। এই আসনের এমপি এনামুল হক। তবে তাঁকে হঠাতে মরিয়া অন্য নেতারা। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ ও রাবির সাবেক অধ্যাপক পিএম শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক এমপি অধ্যাপক আবদুল গফুর, জেলার সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা অধ্যাপক কামাল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা ডা. জাহিদুন্নবী দেওয়ান শামীম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল। এছাড়াও জাতীয় পার্টির নেতা আবু তালেব, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল আহাদ কবিরাজ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
পুঠিয়া ও দুর্গাপুর নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৫ আসন। এ আসনের বর্তমান এমপি ডা. মনসুর রহমান। এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ও সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের মেয়ে তানজিমা শারমিন মুনি। সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের ছেলে বদরুল ইসলাম তাপসের মৃত্যুর পর তার বোন প্রচারনা চালাচ্ছেন। তাপসও এই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। বিএনপি থেকে এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বাক্কার সিদ্দিক, বিএনপি নেত্রী মাহবুবা হাবিবা, বিএনপি নেতা ইসফা খায়রুল হক শিমুল।
এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল হোসেন। বাঘা ও চারঘাট নিয়ে রাজশাহী-৬ আসন। এই আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও। এবার রাজশাহী-৬ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন, সাবেক এমপি রায়হানুল হক রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু ও বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী।
বিএনপি থেকে নির্বাচন দলীয় প্রার্থীতা চাইতে পারেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, বিএনপি নেতা দেবাশীষ রায় মধু ও নুরুজ্জামান খান মানিক। এছাড়াও জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন রিন্টু ও ইকবাল হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর অধ্যক্ষ নাজমুল হোসেন দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
Comments
Post a Comment