আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন রাজশাহীর দু’জন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন রাজশাহীর দুই প্রার্থী। এছাড়া এক প্রার্থীর নামঞ্জুর করেছে আরও একজনের অপেক্ষায় রেখেছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের আপিল শুনানিতে তারা এই প্রার্থীতা ফিরে পান। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্র নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি)। রাজশাহী-৪ থেকে ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল হোসেন। রাজশাহী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশার শুনানি না মঞ্জুর করা হয়েছে।
এছাড়াও রাজশাহী-৫ আসন থেকে বিএসসি প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোল্লার প্রার্থীতা পেন্ডিং রেখেছে। ইসি সূত্র জানায়, আপিল শুনানির প্রথম দিনে ১০০ জন প্রার্থীর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ছয় জন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ৯৪ জন প্রার্থীর শুনানি হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫৬ জন প্রার্থী।
ওই দিন ৩২ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। আর ছয় জন প্রার্থীর বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানায় ইসি। অন্যদিকে, শুনানির দ্বিতীয় দিনেও শুনানি হয়েছে ১০০ প্রার্থীর। এর মধ্যে ৫১ জনের আপিল মঞ্জুর হয়েছে। নামঞ্জুর হয়েছে ৪১ জনের। বাকি আট জনের সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ রয়েছে।
ইসি সূত্রে আরও জানা গেছে, আপিলের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীর উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহি বলেন, আমি ন্যায় বিচার পাব কি না এটা নিয়ে বেশ টেনশনে ছিলাম। আমি আমার জায়গায় সৎ ছিলাম, আসলে আজকে সেটারই প্রতিদান পেয়েছি।
আমি শতভাগ বিশ্বাস করতে শুরু করি যে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে শারমীন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি) বলেন, আমার মনে হয় একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।
কারণ সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজনই মোটামুটি আমাকে জোর করে বলেছে যে, না আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। কারণ তারা জানে আমি মাঝি, যদিও আমি নৌকা পাইনি। তারা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবেই দেখতে চায়। আমি যাতে বিপুল ভোটে জিতে নৌকার মাঝি হই।
এটা তারা খুব করে চায়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাপ তো অবশ্যই আছে। আসলে কে চাইবে হেরে যেতে? হার তো আসলে আমরা কেউ পছন্দ করি না, আমরা চাইও না। যে যার জায়গাটা ধরে রাখতে চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি বরাবরই যোদ্ধা। আমি যুদ্ধ করেই জিতব।
এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমেই নির্বাচনটা হবে। এসময় তিনি আরও বলেছেন, রাজশাহী-১ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এবং ইনশাআল্লাহ আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
Comments
Post a Comment