৩৬টি হুথি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আমেরিকা ও ব্রিটেনের পাশে ৬ ‘বন্ধু’
হুথি ঘাঁটিতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে ব্রিটেন এবং আমেরিকার। ইয়েমেনে হুথিদের ৩৬টি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করা হয়েছে। গোপন ঘাঁটি চিহ্নিত করে আমেরিকা ও ব্রিটেন আকাশপথে হামলা চালিয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বাহরিন, নেদারল্যান্ডস ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের লাগাতার হামলার প্রত্যাঘাত। ইয়েমেনের ১৩টি এলাকায় ৩৬টি হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।’
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হুথিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদদপুষ্ট হুথিদের পক্ষে জানানো হয়, গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। বেছে বেছে আক্রমণ শানানো হচ্ছে ইসরায়েলপন্থী বাণিজ্যতরিতে।
গত দু’মাস ধরে লোহিত সাগরে মার্কিন বাণিজ্যতরিতে হামলা চালিয়েছে ইরানের মদদপুষ্ট হুথি জঙ্গিরা। বিভিন্ন দেশের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে লোহিত সাগরে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। জর্ডনে সিরিয়া সীমান্তে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হুথিদের হামলার জেরে মৃত্যু হয় তিন মার্কিন সেনার।
আহত হন অনেকেই। হুথির অব্যাহত হামলার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে। ইরানের মদদপুষ্ট এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানালো আমেরিকা ও ব্রিটেন। এবার ১৩টি এলাকায় ৩৬টি হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে ১১ জানুয়ারি ইয়েমেনে হুথিদের ঘাঁটিতে হামলা চালায় ব্রিটেন ও আমেরিকা।
হুথিদের অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে বের করতে গোপন অভিযান শুরু করে মার্কিন নৌবাহিনি। তার আগে দক্ষিণ লোহিত সাগরে হুথিদের মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করে দেয় দুই দেশ। মার্কিন হামলায় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে হুথিদের এক রাডার স্টেশনও।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় নজরদারির পাশাপাশি হুথিদের অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে বের করার নির্দেশও দেয়া হয়েছিল নেভি সিলস কমান্ডোদের। ওই অঞ্চলে তল্লাশির পর হুথিদের বড়সড় অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছে তারা। বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই সমরাস্ত্র।
সেগুলোর মধ্যে ছিল, ইরানে তৈরি ব্যালিস্টিক মিসাইলের অংশ, ক্রুজ মিসাইল, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র-সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র। এই হাতিয়ারগুলো দিয়েই হুথিরা লোহিত সাগরে হামলা চালাতো বলে অভিযোগ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
Comments
Post a Comment