রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা ও বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি লিমন মিয়া (৩৪) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়েছে- পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসির কাছ থেকে লিমন নিজের অভাব-অনটনের কথা বলে মাঝে মধ্যেই টাকাপয়সা নিতেন। এই টাকাপয়সা নেওয়াটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে লিমন মিয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় রাত
সাংসদপুত্রকে আসামি না করায় ক্ষোভ আসামিদের
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সেখানকার সাংসদ পুত্র সুনাম দেবনাথকে আসামি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আদালত থেকে ফেরার সময় আসামিরা সাংবাদিকদের দেখে এই প্রতিক্রিয়া দেখান। আজ সকালে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালতের কার্যক্রম শেষে তাঁদের কারাগারে নেওয়ার জন্য আদালত চত্বর থেকে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। প্রিজনভ্যানে তোলার সময় আসামিরা উপস্থিত স্বজন ও ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন , তাঁদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা অন্যায়। সুনাম দেবনাথ রিফাত শরীফ হত্যার নির্দেশদাতা। তাঁকে কেন এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়নি। সুনাম দেবনাথ বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে। এ প্রসঙ্গে সুনাম দেবনাথ আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই ষড়যন্ত্র করছে। আমার নাম কি ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এসেছে, রিমান্ডে কোনো আসামি বলেছে? আপনারা বুঝতে পারছেন এটা আমার বিরুদ্ধে কি রকম ষড়যন্ত্র।’ সুনাম আরও বলেন, ‘মামলার প্রধান দুই আসামি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁরা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।’ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার দিন ধার্য থাকায় আজ সকালে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ আসামিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচার হাকিম আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার ছয় আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের যশোরে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আদালত সূত্র আরও জানায়, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারী বলেন, বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় আদালত যে ছয় আসামিকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তারা হলো, রিশান ফরাজী, তানভীর, চন্দন, অলি উল্লাহ, নাজমুল ও আরিয়ান। আর বাকি আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাঁদের বরগুনার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
- Get link
- X
- Other Apps
Labels
News
Labels:
News
- Get link
- X
- Other Apps
Comments

it is bad
ReplyDelete