মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...
ভালোবাসার ফেরিওয়ালা
মাদার তেরেসাকে অমর করে রাখার সবচেয়ে বড় প্রয়াসটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার। বিশ্বের ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে যারা দুই মুঠো অন্ন পৌঁছে দেন তাদের পক্ষে এই স্বীকৃতি হলো সেরেস মেডেল। এই মেডেলের এক পিঠে রয়েছে ভিক্ষাপাত্র হাতে অপুষ্টিতে ভোগা একটি শিশুর মূর্তি আর অপর পিঠে রয়েছে মাদার তেরেসার ছবি। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের সে সময়কার সেক্রেটারি জেনারেল পেরেজ দ্য কুয়েলার মাদার তেরেসা সম্পর্কে এক সভায় বলেছিলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মানবী হচ্ছেন মাদার তেরেসা। ১৯৮৩ সালে পোপ জন পল-২ এর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রোম সফরের সময় মাদার তেরেসার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়।
১৯৮৯ সালে আবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার দেহে কৃত্রিম পেসমেকার স্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে মেক্সিকোতে থাকার সময় নিউমোনিয়া হওয়ায় হৃদ্রোগের আরও অবনতি ঘটে। এই পরিস্থিতিতে তিনি ‘মিশনারিজ অফ চ্যারিটি’–এর প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু চ্যারিটির নানরা গোপন ভোটগ্রহণের পর তেরেসাকে প্রধান থাকার অনুরোধ করে। অগত্যা তেরেসা চ্যারিটির প্রধান হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে মেঝেতে পড়ে কলার বোন ভেঙে ফেলেন। কিছুদিন পর আগস্টে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। পাশাপাশি তার বাম হৃৎপিণ্ডের নিলয় রক্ত পরিবহনে অক্ষম হয়ে পড়ে। ১৯৯৭ সালের ১৩ মার্চ মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সেই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এই মহীয়সী নারী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চির বিদায় নেন।
মৃত্যুর সময় মাদার তেরেসার মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে সিস্টারের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার এবং ব্রাদারহুড সদস্য ৩০০ আর স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি। পৃথিবীর ১২৩টি দেশে মোট ৬১০টি কেন্দ্রে ধর্ম প্রচারণার কাজ পরিচালিত হচ্ছিল। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ছিল এইডস, কুষ্ঠরোগ ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র, সুপ কিচেন, শিশু ও পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র, এতিমখানা ও বিদ্যালয়। মাদার তেরেসা কখনোই জাতি-ধর্ম-বর্ণের সীমানায় নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। আর্ত মানবতার সেবায় তিনি মাতৃস্নেহে যেভাবে পৃথিবীর সব জাতি-ধর্ম-বর্ণের মানুষের ভালোবাসার টানে আবদ্ধ করেছেন, তেমনি বিশ্ববাসী মাদার তেরেসাকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে।
maa
ReplyDelete