The biggest earthquake in Bangladesh so far Skip to main content

Featured Post

Asteroid is approaching, will destroy the Earth, NASA warns

  ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, ধ্বংস হবে পৃথিবী, অশনি ইঙ্গিত দিল নাসা ধেয়ে আসছে বিরাট আকারের গ্রহাণু। ফলে নতুন করে চিন্তার কথা শোনা গেল নাসার বিজ্ঞানীদের মুখে।  নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একটি বিরাট আকারের গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে এটি আকারে অতি বড়।  এই গ্রহাণুটি ৩৭০ ফুট চওড়া। এর নাম ২০২৩ কেইউ। এটি পৃথিবীর দিকে প্রতি ঘন্টায় ৬৪ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটে আসছে।  এককথায় বলতে হলে এই গ্রহাণুটির আকার প্রায় একটি ৩৫ তলা বাড়ির সমান।  এটি অতি ঝড়ের বেগে শুক্রবার পৃথিবীর ধার দিয়ে চলে যাবে। যে গতিতে এটি পৃথিবীর ধার দিয়ে যাবে তাতে বেশ খানিকটা হলেও চিন্তায় পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।  তারা মনে করছেন যদি শেষবেলায় গতি বাড়িয়ে বা নিজের কক্ষপথ পরিবর্তন করে যদি এটি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে সেটি হবে অতি ভয়ঙ্কর।  শুক্রবার অর্থাৎ ১১ এপ্রিল রাত ৯ টা বেজে ৫ মিনিটে পৃথিবীর ধার দিয়ে চলে যাবে এই বিরাট আকারের গ্রহাণুটি। পৃথিবী থেকে ১ মিলিয়ন দূর থেকে চলে যাবে এই গ্রহাণুটি।  তবে যে গতিতে এটি যাবে সেখানে কিছুটা হলেও পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের এর প্রভাব থাকবে বলেই মনে করছে নাসার বিজ্ঞানীরা।  ...

The biggest earthquake in Bangladesh so far

ভূমিকম্প,ভূমিকম্প বাংলাদেশ,ভূমিকম্প বাংলাদেশ ২০২১,ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ,ভূমিকম্প কী?,ভূমিকম্প কেন হয়?,তুরস্কে ভয়াবহ ভুমিকম্প বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ,তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প,ভূমিকম্প কীভাবে সৃষ্টি হয়,বাংলাদেশে বন্যার ভয়াবহ রূপ,ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প,বাংলাদেশের শোক,শক্তিশালী ভূমিকম্প,সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প,ভূমিকম্প ২০২১,ভূমিকম্পে,ভূমিকম্প সিলেট,আজকের ভূমিকম্প,ভূমিকম্প ভিডিও,ভয়াবহ ভূমিকম্প,ভূমিকম্প কবে হবে,ভূমিকম্প কেন হয়?

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত বড় ভূমিকম্প : বাংলাদেশে ও এর আশপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্প নতুন কিছু না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ভূমিকম্প নিয়ে সঠিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় না। এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছিল তা বিভিন্ন নথিতে উল্লেখ পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলে কম। 

বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ১৫৪৮, ১৬৪২, ১৬৬৩, ১৭৬২, ১৭৬৫, ১৮১২, ১৮৬৫, ১৮৬৯ সালে ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে এসবের মাত্রা কত ছিল তা জানা যায় না। এছাড়া ১৮২২ ও ১৮১৮ সালে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ৭.৫ ও ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে এর ক্ষয়ক্ষতির তেমন বর্ণনা পাওয়া যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা বলেন, বাংলাদেশে গত ১২০-২৫ মাঝারি ও বড় মাত্রার প্রায় শতাধিক ভূকম্প অনুভূত হয়েছে। 

তবে এসবের মধ্যে সাত বা তার চেয়ে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সংখ্যা খুব বেশি নয়। মি. ভূঁঞা বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং এর নিচে যে পরিমাণ শক্তি জমা হয়ে আছে তা বের হলে বাংলাদেশে বেশ বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ ও এর আশপাশের অঞ্চলে এ পর্যন্ত যেসব বড় ভূমিকম্পের উল্লেখ পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে: 

১৫৪৮ সালের ভূমিকম্প : ঐ বছর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল আসামে। এই ভূমিকম্প এই অঞ্চলের ভূমিকম্পে বড় ধরণের পরিবর্তন এনেছিল বলে জানান ভূতত্ত্ববিদ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। তবে কী ধরণের পরিবর্তন হয়েছিল তার বিস্তারিত জানা যায় না। এর ১০০ বছর পর আপার আসামে আরেকটি বড় ভূমিকম্প হয়। 

১৭৬২ সালের ভূমিকম্প : টেকনাফ থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার জায়গায় যে ফল্ট লাইন রয়েছে সেখানে ৮.৫ মাত্রার বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এর ফলে সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড তিন মিটার উপরে উঠে আসে। এর আগে সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড ছিল ডুবন্ত দ্বীপ।মিয়ানমারের একটি দ্বীপ ছয় মিটার ওপরে উঠে আসে। 

একই ভূমিকম্পে সীতাকুন্ড পাহাড়ে কঠিন শিলা ভেদ করে নিচ থেকে কাদা বালুর উদগীরণ হয়। এই ভূমিকম্পের কারণে বঙ্গোপসাগরে সুনামি হয়। এই সুনামির কারণে ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর ধারে বাড়িঘর ভেসে গিয়ে সে সময় ৫০০ মানুষের প্রাণহানি হয়। 

১৭৮৭ সালের ভূমিকম্প : শিলং প্ল্যাটুতে গত ৪০০ বছরে অসংখ্য আট মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছি। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ১৯৮৭ সালের ভূমিকম্প। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল বলে জানান মি. আখতার। 

এটি আগে ময়মনসিংহ দিয়ে প্রবাহিত হতো, কিন্তু বর্তমানে এটি যমুনা নদীর কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

১৮৮৫ সালের ভূমিকম্প : মধুপুর ফল্টে ভূমিকম্প হয় ১৮৮৫ সালে। এটি বেঙ্গল ভূমিকম্প নামে পরিচিত। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়। ধারণা করা হয় যে, এর মাত্রা ছিল ৬.৫- ৭.০। এটি এতো শক্তিশালী ছিল যে ভারতের সিকিম, বিহার, মনিপুর এবং মিয়ানমারে অনুভূত হয়েছিল। 

ঢাকা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং পাবনায় প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানার আগে একই বছরের জুনে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে যা কলকতা এবং দার্জিলিংয়েও অনুভূত হয়েছিল। ভূতত্ত্বদিব মি. আখতার বলেন, সেই সময়ে জনসংখ্যা কম ছিল, এবং এই অঞ্চলের গুরুত্ব কম ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির সেভাবে পাওয়া যায় না। 

১৮৮৯ সালের ভূমিকম্প : ১৮৮৯ সালের ১০ই জানুয়ারি এই ভূমিকম্পটি মেঘালয়ে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পটি সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের জৈন্তা পাহাড়। এর মাত্রা ছিল ৭.৫। সিলেট শহর এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। 

১৮৯৭ সালের ভূমিকম্প : ১৮৯৭ সালের ১২ই জুন এটি শিলং প্ল্যাটুতে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৮.২। এটা গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক নামে পরিচিত। এটার ঝাঁকুনি দিল্লি, পেশোয়ার পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল। এই ভূমিকম্পে মেঘালয়, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় ১৬শর বেশি মানুষ মারা যায়। ভূতত্ত্বদিব মি. আখতার বলেন, এই ভূমিকম্পের পর ইংরেজরা ভয়ে তাবু টাঙিয়ে বসবাস শুরু করেছিল। 

এছাড়া অনেকে নৌকাতেও বাস করেছেন কয়েক মাস। ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা বলেন, লিখিত আছে যে, হাছন রাজার একটি পোষা হাতি ছিল যেটি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট একটি ফাটলে পরে মারা যায়। এঘটনার পর হাছন রাজা মর্মাহত হন এবং তিনি এর পরে মরমী কবি হয়ে উঠেন। 

১৯৫০ সালের ভূমিকম্প : এই বছর ভারতের অরুণাচল প্রদেশে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, এর পরে যে বন্যা হয় সেখান থেকে গাছপালা ও পলি বাংলাদেশে চলে আসে। এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিশমি পাহাড়। এতে ভারতের প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। 

এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। কম্পন অনুভূত হয়েছিল বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং চীনের কিছু অংশে। তবে এসব এলাকায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়া ১৯৩৪ সালের দিকে বিহার ভূমিকম্প সংগঠিত হয় যার ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছিল বলে জানান মি. হোসেন। তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

Comments

Popular posts from this blog

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্...

The country's largest Friday prayer was held at Biswa Ijtema Maidan in Tongi

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ  মাওলানা সাদ অনুসারীদের দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার শুরুর দিনটা শুক্রবার পড়েছে। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ।  তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় ইজতেমা ময়দানে জুমার আজান হয়। দেড়টায় শুরু হয় খুতবা।  এরপর ১টা ৫০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১টা ৫৫ মিনিটে। জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।  ইজতেমার নিজামউদ্দিন অনুসারী দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  শুক্রবার বাদ ফজর থেকেই দ্বীন, ইমান এবং আখলাকের ওপর ইজতেমার দেশ-বিদেশের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করছেন।  তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

Trump criticized for controversial comments again

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: সব সুইং স্টেটে এগিয়ে ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশ এখন নজর রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  এবারের নির্বাচনে চমক দেখিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন?  নাকি ইতিহাস সৃষ্টি করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রথম মার্কিন নারী প্রেসিডেন্ট হবেন?  এর উত্তর নির্ধারিত হতে পারে কিছু রাজ্যের ফলাফলে।  এগুলো ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান রাজ্য হিসেবে পরিচিত।  এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেটে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে সুইং স্টেটের দিকে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ইন্টেল পরিচালিত জরিপের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব সুইং স্টেটে জনমত জরিপে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প  জরিপে প্রায় ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন, তারা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।  সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, সুইং স্টেটগুলোতে ডেমোক্...