আত্রাই আশ্রয়ণে খামার: নারীর আত্মকর্মস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক :
চাকরি ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সর্বত্র তাদের পদচারণা দিন দিন বেড়েই চলেছে।তাই নারীদের সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে নওগাঁর আত্রাই কয়রা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে ছাগলের খামার।
দেওয়া হয়েছে ঋণ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত নারী উপকারভোগীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বিত পশুপালন হিসাবে ছাগলের খামার করে দিয়েছেন।তাদের একতাবদ্ধ এবং মনোবল বৃদ্ধি করতে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে সমবায় সমিতি।
সেই সমিতিতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)’র মাধ্যমে ছাগল পালনের লক্ষে দেওয়া হয়েছে ঋণ। যার কার্যক্রম গত বছরের ২৯ আগস্ট জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ উদ্বোধন করেন। শুরুতে মূল্য পরিশোধের শর্তে ১৩ নারীকে একটি করে ছাগল দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে কয়েক মাসের মধ্যে তারা আরও ৪টি ছাগল কিনে দিন দিন সমিতির পরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি করে চলেছেন তারা।সুফলভোগী হাছিনা বেগম জানান, পরিবারের খাবারের জন্য বাড়ির পুরুষরা কৃষি কাজ, ভ্যান কেউবা অটোরিকশা চালাচ্ছেন।
বাড়িতে নারীদের রান্না করা ছাড়া আর কোনো কাজ থাকেনা। ইউএনও স্যারের পরামর্শে আমরা একটি সমিতি করি। সেই সমিতির মাধ্যমে ছাগল পালনের পাশাপাশি বাড়িতে শাক সবজি লাগিয়ে সংসারে সহায়তা করায় স্বামীরা খুশি হচ্ছেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে আমরা খুব ভালো আছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনও স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।সুফলভোগী রবিউল ইসলাম জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে এ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাস করার জন্য কারো সাথে কারো চেনা জানা ছিলোনা। ইউএনও স্যারের পরামর্শে আমরা ১৬ ঘরের মানুষ মিলে একটি সমিতি করি।
এখন আমরা সবার সুখে-দুঃখে সহায়তা করে অনেক ভালো আছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ স্যারের পরামর্শে কয়রা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে খামার করে দেওয়ায় ছাগল পালনের পাশাপাশি বাড়ির চারপাশে শাক-সবজি লাগিয়ে সংসারে আয় বৃদ্ধিতে নারীরা সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন।
Comments
Post a Comment