৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গত সপ্তাহে একটি গ্র্যান্ড জুরি অভিযুক্ত করে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মঙ্গলবার ম্যানহাটন ফৌজদারি আদালতে হাজির হন ট্রাম্প। সাবেক এক পর্ণ তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদান সংক্রান্ত একটি মামলায় তিনিই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাকে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুনানির আগে ট্রাম্পকে গ্রেফতার দেখানো হলেও, শুনানি শেষে তাকে ছেড়ে দেয় আদালত।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক দণ্ডবিধির ১৭৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতির ৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউ ইয়র্কে ব্যবসায়িক রেকর্ড জাল করা একটি বড় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে প্রসিকিউটরদের প্রমাণ করতে হবে যে ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ২০০৬ সালের একটি অভিযোগ ঢাকতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন।
আর এটা করতে গিয়েই ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় জালিয়াতির ৩৪টি ভিন্ন অপরাধ করেছেন ট্রাম্প।
ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ আদালতের শুনানির পর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক নির্বাচনি আইনের যে লঙ্ঘন হয়েছে সেগুলোকে আড়াল রাখার উদ্দেশ্যে ছিল ট্রাম্পের।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি ভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে? না। পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিটি অপরাধ অভিযুক্তের অসদাচরণের একটি আলাদা দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে, তবে এগুলো ভিন্ন ধরনের অপরাধ নয়।
সম্ভাব্য শাস্তি কি? যদি জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হন, তবে প্রতিটি অপরাধের জন্য ট্রাম্পকে চার বছর করে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। বিচারক এই সাজা পরপর দিতে পারেন, যার অর্থ ট্রাম্পকে দীর্ঘ কারাবাসে যেতে হবে। তবে এই অভিযোগে বাধ্যতামূলক কারাদণ্ডের বিধান নেই। এমনকি সব ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলেও, ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৪ সালের প্রার্থীকে কারাগারে সাজা দেওয়া হবে কি না তা অনিশ্চিত। তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট,বাংলাট্রিবিউন
Comments
Post a Comment