পশ্চাদ্দেশে ব্যথার কারণে ঠিক মতো হাঁটতে পারছিলেন না। ব্যথাটা ক্রমে বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ছোটেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। চিকিৎসকদের জানান তাঁর সমস্যার কথা। ব্যথার উৎস কী, তা জানতে চিকিৎসকরা এক্স রে করার সিদ্ধান্ত নেন।
পরীক্ষা চলাকালীন চিকিৎসকরা দেখেন, রোগীর মলদ্বারে কিছু একটা আটকে রয়েছে। এর পরই তাঁরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসকরা তখনও বুঝতে পারেননি রোগীর মলদ্বারে আটকে থাকা বস্তুটি আসলে কী। অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই চমকে ওঠেন তাঁরা। চিকিৎসকরা দেখেন, রোগীর মলদ্বারে আস্ত একটি শসা আটকে রয়েছে।
অস্ত্রোপচার করে শসা বার করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার শেষে রোগী তাঁর সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলেন চিকিৎসকদের কাছে। তখন তাঁরা জানান, মলদ্বারে আস্ত একটি শসা আটকে ছিল। সে কারণেই ব্যথা এবং হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। এর পরই চিকিৎসকরা রোগীকে জিজ্ঞাসা করেন, কী ভাবে মলদ্বারে শসা আটকে ছিল?
তখন রোগী উত্তর দেন, তিনি জানতেন না যে তাঁর মলদ্বারে শসা আটকে রয়েছে। এর পরের উত্তরের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না চিকিৎসকরা। রোগী দাবি করেন, “আমি শসা খেতে খুব ভালবাসি। প্রচুর শসাও খাই। হয়তো অতিরিক্ত শসা খাওয়ার জন্য বীজ থেকে ওই শসা গজিয়েছে।
” যদিও রোগীর এই দাবিকে নস্যাৎ করেন চিকিৎসকরা। সুস্থ হওয়ার পর রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি কলম্বিয়ার বারানোয়ার। ঠিক একই রকম ঘটনার কথা কিছু দিন আগে প্রকাশ্যে এসেছিল। ভেনেজুয়েলার এক ব্যক্তির মলদ্বারে বিয়ারের বোতল আটকে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে সেই বোতল বার করা হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
Comments
Post a Comment