বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ রেসিপ্রোকাল (পাল্টা) শুল্ক স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে চূড়ান্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। আগামী ৯ জুলাই এই শুল্কের স্থগিতাদেশ শেষ হতে যাচ্ছে। এর আগে চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে অন্তর্বর্তী সরকার। বা ণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দফতর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ন্যায্য একটি বাণিজ্য চুক্তির আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে সীমিত রাখার প্রস্তাব তুলে ধরে। আগামী ২৯ জুন এই বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ র আগে, ১২ জুন দুই দেশের মধ্যে একটি ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়, যার আওতায় প্রস্তাবিত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চুক্তির খসড়া বাংলাদেশের কাছে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ তার জবাব পাঠিয়েছে ২...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচিত লুৎফর রহমান মাষ্টার হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, চাঁপাইনবাব্গঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের চক বহরম গ্রামের গোলাম মোহাম্মদ এর ছেলে বোগদাদ (৪৬) ও একই এলাকার মোমিন এর ছেলে সাদ্দাম (৩৪)।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, চাঁপাইনবাব্গঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের চক বহরম গ্রামের গোলাম মোহাম্মদ এর ছেলে বোগদাদ (৪৬) ও একই এলাকার মোমিন এর ছেলে সাদ্দাম (৩৪)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, গত ২০১২ সালের ২৫ আগষ্ট সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের চকবহরম গ্রামের মৃদ ইদ্রিস মন্ডলের ছেলে লুৎফর রহমান মাষ্টারের বাড়ির সামনে গাবর ফেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ভাতিজা বোগদাদ ও সাদ্দাম লুৎফর রহমান মাষ্টারের মাথায় হাসুয়া দিয়ে কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মৃতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে বোগদাদ ও সাদ্দামসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে, গত ২০১৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক রওশন কবীর আদালতে অভিয্গোপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমানাদি শেষে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী বোগদাদ ও মোমিন এর বিরুদ্ধে উক্ত রায় প্রদান এবং অপর ৫ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
সরকারি পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট ইয়াসমিন সুলতানা রুমা।
right
ReplyDelete