বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৬ গুণ বন্দি- মানবেতর জীবন-যাপন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ৬ গুণ বন্দি থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। অন্যদিকে, কারা কর্তৃপক্ষ এ অবস্থায় কিছু কয়েদীকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করবেন বলে জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার শফিকুল ইসলাম খাঁন জানান, ১’শ ৭৫ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ কারাগারে বতর্মানে বন্দি রয়েছে ১ হাজার ২’শ ৪৩ জন। আর ৬টি ছোট/বড় ওয়ার্ডে এদের রাখা হয়। আইনশৃংখলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে মূলত জেলা কারাগারে বন্দীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এতো বিপুল সংখ্যক বন্দিদের নিয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দিনভর প্রচন্ড গরমের মাঝে রাতে বন্দিদের নির্ধারিত ওয়ার্ডে নেয়া হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি নেয়ায় গাদাগাদি করে অবস্থান করায় রাত সাড়ে ৮ টা থেকে বেশ কিছু বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ১১ জন আংশকাজনক হয়ে পড়লে তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি ওর্য়াডেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন-তিনগুন বন্দি রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে দন্ডপ্রাপ্ত প্র্ায় সাড়ে ৪’শ মাদকসেবী এখানে রয়েছে। মূলত তারাই বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে, নতুন ভবন তৈরীর কাজ শেষ হলে এ সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। প্রচন্ড গরমের কারণে কারা কর্তৃপক্ষ এ অবস্থায় কিছু কয়েদীকে গতকাল শুক্রবার অন্য কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান জেল সুপার ।
এদিকে, সিভিল সার্জন সাইফুল ফেরদৌস মোহাঃ খায়রুল আতাতুর্ক জানান, বিভিন্ন মেয়াদে দন্ডপ্রাপ্ত প্রায় সাড়ে ৪’শ মাদকসেবী রয়েছে এ কারাগারে। মূলত তারাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার ফলে বর্তমানে তারা সুস্থ।

Comments
Post a Comment