বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১, ঢাকার বাইরে ১৩৫৩
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মনিরুল ইসলাম (৩৪)। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে দুজনের মৃত্যু হলো। এর আগে ৬ আগস্ট রিয়ানা নামের তিন বছর বয়সী শিশু ডেঙ্গু জ্বরে এই হাসপাতালে মারা যায়। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে।
ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরের বাইরে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৩৫৩ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। আর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৮১ জন। রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ডেঙ্গু পরিস্থিতির নতুন এই হিসাব দিয়েছে। রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ৮ হাজার ৭৫৪ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে নতুন রোগী ২ হাজার ৩৩৪ জন।
রোববার আরও ১১ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা হলো ৪০। অন্যদিকে প্রথম আলোর নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত মাসের মাঝামাঝি ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। সরকারি তরফে বলা হচ্ছিল, আক্রান্ত লোকজনের ঢাকায় যাতায়াত বা অবস্থানের ইতিহাস আছে, ঢাকাতে আক্রান্ত হয়েই তারা বিভিন্ন জেলায় গেছে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই খবর বের হয়, অনেকে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের ঢাকায় যাতায়াত বা অবস্থানের ইতিহাস নেই।
অন্যদিকে কীটতত্ত্ববিদেরা জানান, ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি বড় শহরে এডিস ইজিপটাই মশা আছে। এই মশা ডেঙ্গুর ভাইরাস বহন করে।
ঢাকা শহরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ১০টি ও বেসরকারি ৩০টি হাসপাতালের তথ্য এবং বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য একত্র করে হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য দেয়। আরও অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর হিসাব সরকার বা অন্য কারও কাছে নেই।
সরকারি হিসাবে এ বছর মোট ৪১ হাজার ১৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে আগস্টের প্রথম ১১ দিনেই ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৭১৭ জন।
সরকারি হিসাবে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে।
- Get link
- X
- Other Apps
Labels
News
Labels:
News
- Get link
- X
- Other Apps
Comments


sabdhan
ReplyDelete