চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরুর গোবর দূষণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গরুর গোবর রাখার স্থান ও খড়ের পালা রেখে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোনিমগাছি মহল্লার আব্দুল মান্নানের পরিবারকে এ বিষয়ে অবগত করা হলে তারা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। এর প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পৌরসভার মেয়র বরাবর আবেদন করেছেন। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত মহানন্দা বাঁধে চৌবাচ্চা তৈরি করে বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে এলাকার অনেকেই অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নামোনিমগাছি মহল্লার আব্দুল মান্নানের বাড়িতে গরুর খামার থাকায় গরুর উচ্ছিস্ট অংশ খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার ওপারে মহানন্দা তীরবর্তী স্থানে ইটের চৌবাচ্চা তৈরি করে সেখানে সংরক্ষণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করায় তা পঁচন ধরায় এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এর ফলে যেমন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তেমনি চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি উক্ত এলাকায় খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় কমলমতি শিশুরা ক্লাস করতে বেশ অসুবিধায় পড়ছে। এর দূর্গন্ধ শ্রেণিকক্ষে ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীরা সে পরিবেশ পাচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে তীব্র দূর্গন্ধ ছড়ানোর ফলে পরিবেশ আরো বিনষ্ট হয়। এছাড়া খড়ের পালা থাকায় হঠাৎ বাতাস উঠলেই খড়কুটা উড়ে বিদ্যালয় চত্বরে এবং শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিশুদের চোখে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে। অন্যত্র সরানোর জন্য বলা হলেও তারা কর্ণপাত না করে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার ওপারে মহানন্দা তীরবর্তী স্থানে চৌবাচ্চায় গোবর সংরক্ষণ করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এলাকার সাবের আলী ও মনজুর রহমান জানান, আব্দুল মান্নান ও স্ত্রী সাকেরা খাতুনকে এ বিষয়টি সম্পর্কে বলা হলে তারা উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন এবং মারতেও উদ্যত হন। তার এহেন আচরণে এলাকার মানুষ নিরুপায় হয়ে পড়েন এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অবহিত করা হয়। তাদের নোংরামির আচরণে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীকে। খামার সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাবনী ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয়ের সামনে গরুর উচ্ছিষ্ট অংশ সংরক্ষণ এবং খড়ের পালা রাখার কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য বলা হলেও তারা কর্ণপাত না করে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করছে। পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়ে ওই এলাকার সচেতন লোকজন কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে বললে তাদের তোপের মুখে পড়তে হয়। স্বাস্থ্য সম্মত ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এদিকে, মহানন্দা নদী ভাঙনরোধে উক্ত এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেই বাঁধে ইট-সিমেণ্ট দিয়ে গোবর সংরক্ষণের জন্য চৌবাচ্চা তৈরি করে এবং তার পাশেই খড়ের পালা রাখার বাঁশের টং বসিয়েছে উক্ত পরিবারের লোকজন। এতে করে গোবরের পানি চুয়ে পড়ে বাঁধটি দেবে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ময়েজ উদ্দিন জানান, এ অভিযোগ স্থানীয়ভাবে কেউ জানায়নি। তবে বাঁধের উপর অবৈধ স্থাপনা অতি দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
protikar hoa uchit
ReplyDelete