Mosquitoes and mosquitoes, small mosquitoes and large mosquitoes, are busy biting people. People in different shops are busy killing mosquitoes and there are loud noises.
মশা আর মশা, ছোট মশা আর বড় মশা, মানুষকে কামাড়াতেই ব্যস্ত। বিভিন্ন দোকানে থাকা জনগণ মশা মারতেই ব্যস্ত এবং ফুটফাট শব্দ লেগেই আছে।
মশা আর মশা, ছোট মশা আর বড় মশা, মানুষকে কামাড়াতেই ব্যস্ত। বিভিন্ন দোকানে থাকা জনগণ মশা মারতেই ব্যস্ত এবং ফুটফাট শব্দ লেগেই আছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় মশার আতঙ্কে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। পৌরবাসী বলছেন, মেয়র ও কাউন্সিলারদের কি মশা গুলো কামড় দিচ্ছে না শুধু আদর করছে? জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন না করায় পৌরবাসি ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় ১৫টি ওয়ার্ডে ১লাখ ৪৬ হাজার ৪শ ৬০ জন ভোটার ও ৩৫ হাজার পরিবার বসবাস করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় নবনির্বাচিত মেয়র মোখলেসুর রহমান পৌরবাসিকে জানান, আধুনিক, অবৈধ যান মুক্ত, পরিছন্ন ও ১টি বসবাস যোগ্য শহর উপহার দিবেন। বিধিবাম তিনি দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর যত্রতত্র আর্বজনার স্তুপ অপরিছন্ন নগরী এবং অবৈধ লসিমন, করিমন, ভুটভুটি, সিএনজি, মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা ও বালি ভর্তি ও ইট ট্রাক পরিবহনের নগরীতে পরিনত হয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটি সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও পৌর নাগরিকদের প্রতিদিন ৭টন বর্জ্য শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেলার অভিযোগ বলেন, আমগবেষণার সম্মুখে, ঢাকা বাস টার্মিনালের পার্শ্বে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ঘাট, হুজরাপুর খাল ঘাটসহ নদীর পাড় ঘেঁষে এ বর্জ ফেলা হয়। এছাড়া পৌর নাগরিকদের বাড়ীর সম্মুখ ভাগের ড্রেন ও বিভিন্ন দোকানের সম্মুখ ভাগে ডাবের খোসাসহ ইট, বালু ও বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হয়। পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা সঠিক ভাবে পরিস্কার না করার কারনে মুলতঃ মশার উৎপত্তি। হাসপাতাল, থানা, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস, জেলা প্রশাসক চত্বর, আদালত ভবন, মুরগী ও সব্জী পট্টি, সিভিল সার্জেন অফিস, উপজেলা কার্যলয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনে দুপুরে মশার উৎপাতে অস্থির হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল রোডের গৃহবধূ নাইমা হক জানান, তার মেয়েরা দিনে ও রাতে মশারী টাঙিয়ে লেখাপড়া করে এবং তিনি মশা মারা র্যাকেট দিয়ে মশা মারতে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের কথা আর কাজের মিল নাই। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা আওয়ামীগের অন্যতম সদস্য আবু সুফিয়ান জানান, দীর্ঘদিন পর সরকার দলীয় মেয়র আমরা পেয়েছি। তিনি সকল ব্যবসায়ীর দোকানসহ বিভিন্ন অফিসে নিজ নিজ দ্বায়িত্বে আবর্জনা রাখার ঝুড়ি ব্যবহারের আবেদন জানান। প্রয়োজনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে আবর্জনা নিদৃষ্ট স্থানে ফেলার জন্য নির্দেশনা দিলে ভালো হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, তিনিসহ ষ্ট্যাপ্গন দিনে রাতে কয়েল জ্বালিয়ে অফিসের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি অনতিবিলম্বে শহর পরিছন্ন ও মশা নিধন করার মেশিনগান ঘনঘন ব্যবহারের দাবি জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মো. মজিবুর রহমান জানান, তাদের অফিসের পিছনে ১টি বড় জঙ্গল ও পচা পানির জলাশয় রয়েছে। জেলা প্রশাসন অঞ্চলের সকল অফিসের মশা সাপলাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দাবি করেন। তিনি অনতিবিলম্বে জেলা প্রশাসকের আশপাশের সকল ড্রেন জঙ্গল পরিস্কারের দাবি করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সেভদ্যা নেচার এর কো-অডিনেটর ফয়সাল মাহম্মুদ জানান, নির্বাচন পাক্কালে প্রার্থীরা সুন্দর ও গঠন মূলক জনসেবা কার প্রতিসূতি দেয়। কিন্ত ক্ষমতায় গেলে এসব প্রতিসূতি ভুলে যায়। তিনি অনতিবিলম্বে পৌরসভার পচা ড্রেনের পানি, আর্বজনারস্তুপ, জঙ্গল পরিস্কার ও মশা মুক্ত শহরের দাবি করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান জানান, শহর পরিছন্ন থেকে শুরু করে সকল ধরনের বর্জ অপসারন ও যথা স্থানে ফেলা হয়। তবে নতুন নতুন বাড়ি তৈরির কারণে বাড়ির সম্মুখ ভাগে ইট ও বালুর রাখা হয়। মশা মারা মেশিনগান দিয়ে নিয়মিত সাঁড়াসি অভিযান চলবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পৌর এলাকায় দিনে দুপুরে কোন ধরনের অবৈধ যান ঢুকতে দেয়া হবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আব্দুল ওদুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে পৌর মেয়রকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছি। নাগরিকদের সেবা করার দায়িত্ব তার উপর বর্তায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, মশার উৎপাতের বিষয়টি অনুধাবন করেছি। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র কে অবহিত করবেন বলে জানান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য ও ফেরদৌসি ইসলাম জেসি এমপি বলেন, তার জানামতে সদর ঘাটে পিয়াজ, আলু, শব্জিসহ আর্বজনা ড্রেন ও মহানন্দা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এ স্তুপ থেকে মশার উৎপত্তি পরিস্কার করার দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের।
hood news
ReplyDelete