কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ দপ্তরে হামলাে ৯ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কানসাটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দপ্তরটিতে নাশকতা আর তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় শত শত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ৯ বছর ধরে চলছে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। শিবগঞ্জের কানসাটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরে নতুন করে রংয়ের প্রলেপে দেয়ালের দাগগুলো মুছে গেলেও, মন থেকে আজও মুছে যায়নি সে বিভিষিকাময় পরিস্থিতি। সেদিন দুর্বৃত্তদের তান্ডব থেকে রেহাই পায়নি জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন স্থান। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রমতে, যুদ্ধাপরাধী প্রমাণিত হওয়া দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ে ওই দিন কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরে ভাঙচুর, পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের প্ল্যান্টসহ ট্রান্সফরমার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট ও ধ্বংসলীলা চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এতে প্রায় ৪শ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়। এমন কি তাদের কবল থেকে রেহাই পায়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আবাসিক ভবনগুলোতে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, এই ভয়াবহ হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তৎকালীন এজিএম রেজাউল করিম বাদি হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেন। ৯ বছর ধরে এ মামলা চলমান রয়েছে। বাদিপক্ষের ৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালতে সাক্ষি উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানান, সেদিন ৪শ কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করেছে, এটি রাষ্ট্রের অপূরনীয় ক্ষতি। এখনো ধকল কাটিয়ে এ দপ্তরটি পুনর্গঠন করার সামর্থ্য এখনো অর্জন করতে পারেনি। সে সময় ৪ মাস বিদ্যুৎ না থাকায় সেচের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় অন্তত ১২শ হেক্টর জমির ফসল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৫৫ হাজার গ্রাহক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সভাপতি পলাশ উদ্দিন জানান, যারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়েছিল বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করতে আর কেউ সাহস পাবে না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ পোড়ানোর ঘটনায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন! অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে। এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা। সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্...
Comments
Post a Comment