The river, which enhances the beauty of the city, is now in the grip of pollution by dumping sewage drains in mahananda river water by dumping waste from various private hospitals, including government hospitals.
মহানন্দা নদীর পানিতে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনের পানি সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালের বর্জ্য ফেলে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী এই নদী এখন দূষণের কবলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। এ শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়েছে মহানন্দা নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার আর গড় প্রস্থ ৪৬০ মিটার। শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী এই মহানন্দা নদীর পানিতে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনের পানি সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালের বর্জ্য ফেলে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী এই নদী এখন দূষণের কবলে। পরিবেশবাদী সংগঠনসহ স্থানীয়রা বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সব পয়ঃনিস্কাশন ড্রেনের মুখ গিয়ে মিলেছে মহানন্দা নদীতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পানি। এছাড়া পৌর এলাকার খালঘাট নামক স্থানটিকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার করত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। তবে কয়েক মাস হলো সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে না তারা। ফলে আগের ময়লা আবর্জনার স্তুপ রয়ে গেছে সেখানে। ময়লা ঢাকতে কয়েক ট্রলি মাটি ফেলা হলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। পৌরসভার খালঘাট এলাকার বাসিন্দা শিমুল বলেন, গত ৫ বছর ধরে এখানে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা, সরকারী- বেসরকারী হাসপাতালের বর্জ্য প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি ট্রাক শহরের ডাস্টবিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে এখানে নিয়ে আসতো। গত কয়েক মাস থেকে এখানে আর ময়লা ফেলা হচ্ছেনা। কিন্তু আগের ময়লা আবর্জনা থেকে যাওয়ায় এবং সেগুলো সঠিক নিয়মে মাটি চাপা না দেওয়ায় তা নদীর পনিতে গিয়ে মিশছে। ফলে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। ছড়াচ্ছে নানা ধরনের রোগ বালাই। ওই এলাকার অপর বাসিন্দা সেতাউর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে নদীর পানির টলটল করতো। নদীর পাশে বসবাস করা পরিবারগুলো নদী থেকে পানি নিয়ে কাজে লাগাত। এখন নদীর পানির যে অবস্থা পানিবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। রোগ বালাইয়ের আশঙ্কায় পানি সংগ্রহ করা তো দূরের কথা গোসলই করেনা মানুষ। তিনি আরও বলেন, নদী দূষণের কারণ নিয়ে তার সাথে কথা বলার সময় পয়ঃনিস্কাশনের একটি ড্রেনের মুখ দেখিয়ে বলেন, এই যে দেখেন শহরের যত নোংড়া পানি সব এসে পড়ছে নদীতে। এই পানি আমরা কিভাবে ব্যবহার করবো। পাশ দিয়েই যেতেই নাকে দুর্গন্ধ লাগছে।
মিজানুর রহমান বলেনে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সব ড্রেনের পানি মহানন্দায় গিয়ে পড়েছে। নদীর পাশের অনেক পৌর এলাকার বাসিন্দা ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। এমনিতেই নদীর গভিরতা কমে গেছে, গ্রীষ্ম মৌসুমে মহানন্দা হেটে পার হওয়া যায়। চাঁপাইনবাবঞ্জের সেভ দ্য নেচার নামে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের সমন্বয়কারী (কো- অর্ডিনেটর) ফয়সাল মাহমুদ জানান, নদীর তীরকে বর্জ্য ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এ নিয়েও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও করা হয়েছে। এমনিতেই নাব্যতা সংকটের কারণে নদীতে পানি কম। তার উপর নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে পানি দূষিত হচ্ছে। দূষণের কারণে মাছসহ জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
protikar chai
ReplyDelete