Skip to main content

Featured Post

Sheikh Hasina's resignation letter' is viral on social media

 শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন দীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সম্প্রতি এক ব্যক্তির সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনে শেখ হাসিনা দাবি করেছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেননি। তিনি যেকোনো মুহূর্তে দেশে ঢুকে পড়বেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ও একাধিকবার দাবি করেছেন যে, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।  তাছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দাবি করছেনই।  এমতাবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। এই নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শেখ হাসিনার পদত্যাগের একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।চিঠিটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে লেখা।  ওই চিঠিতে শেখ হাসিনা লেখেন, আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আর কোনো প্রাণহানি এড়ানোর জন্য আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি।   তিনি আরও লেখেন, এ ঘটনাগু

Only 28 readers of 34 thousand books

 ৩৪ হাজার বইয়ের পাঠক মাত্র ২৮ জন


বই রাখার সারি সারি তাক। সবগুলোতে থরে থরে বই সাজানো। আছে সোফাসহ কাঠের চেয়ার-টেবিল। আছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক পাখা। পরিবেশও পাঠের উপযোগী। কিন্তু একটি সমৃদ্ধ পাঠাগারে যাদের জন্য এই আয়োজন, নেই শুধু সেই পাঠক। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

পাঠাগারটিতে ৩৪ হাজারেরও বেশি বই থাকলেও পাঠকসংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ ২৮ জন। এদের অধিকাংশই আসেন পত্রিকা পড়তে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক যুগে পাঠাগারটির সদস্য বাড়েনি আশানুরুপ। চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত সদস্যসংখ্যা মাত্র ১৩১ জন। পাঠক বলছেন, পাঠাগারে চাকরি প্রত্যাশীদের বইয়ের সংকট রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও এক-দুজনের বেশি ব্যবহার করতে পারেন না। তবে দায়িত্বশীলরা জানান, জনবল সংকটের কারণে পাঠাগারটি ভালোভাবে চালানো যাচ্ছে না। ফলে এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছেন না পাঠক। ২০১১ সালে চালু হয় জেলার এই গণগ্রন্থাগার। ৩৪ হাজারেরও বেশি বই আছে এখানে। একসঙ্গে বসতে পারেন প্রায় ৭০ জন পাঠক। রাখা হয় ১২টি সংবাদপত্র। তবে এতো বড় একটি পাঠাগারে জনবল ৮ জনের বিপরীতে রয়েছে মাত্র দুজন। গ্রন্থাগারিকের মতো প্রধান পদও শূন্য অনেকদিন। গত বুধবার সরকারি এই গ্রন্থাগারে ঢুকতেই চোখে পড়ে রেজিস্ট্রি খাতা। খাতায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত পাঠকের স্বাক্ষর রয়েছে ১২ থেকে ২৮ জনের। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো এই স্বাক্ষরকারীরাই মূলত প্রতিদিন আসেন। তারা চাকরিপ্রত্যাশী অথবা শুধু সংবাদপত্র পড়তে আসেন। পাঠাগারে নারী ও শিশুদের পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও গত মার্চ মাসে নারী পাঠক এসেছেন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন।  স্থানীয় মাইনুল ইসলামসহ আরও একজন চাকরিপ্রত্যাশী রাইজিংবিডিকে জানান, পাঠাগারে চাকরির প্রস্তুতিমূলক বইয়ের সংকটের কথা। তারা এ ধরনের বই আরো বাড়ানোর দাবি জানান। এ বিষয়ে একাধিকবার বলা হলেও পাঠাগার কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেয়নি বলেও তাদের অভিযোগ। এ ছাড়া পাঠাগারে ইন্টারনেট কর্নার থাকলেও একজনের বেশি ব্যবহার করতে পারেন না বলে জানান তারা।  মইন হাসান নামে আরেক পাঠক বলেন, এই পাঠাগারে জব প্রিপারেশনের জন্য পাঠক আসে। বিশ্ব জানার জন্য যে বইগুলো আছে, সেগুলো পড়ার জন্য পাঠক আসে না। পাঠাগারে পাঠক ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি উল্লেখ করে মইন বলেন, পাঠাগারের পক্ষ থেকে স্কুলে স্কুলে গিয়ে বলে আসলে পাঠকের সংখ্যা বাড়তে পারে।

পাঠাগারের সহকারী গ্রন্থাগারিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ৩৪ হাজার বই থাকলেও পাঠকের সংখ্যা একেবারেই কম। আমরাও লোকবল সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারি না। নতুন পাঠকের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। 

Comments

Popular posts from this blog

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে

India is on fire, 40,000 affected by heatstroke, 192 vagrants died in the summer in Delhi!

  দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু! চলতি গ্রীষ্ম রেকর্ড গরমের সাক্ষী হয়েছে ভারত। দাবদাহের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে। দাউদাউ গরমে গত তিন দিনে কেবল দিল্লি, নয়ডাতেই ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  এবার জানা গেল, গত সাড়ে তিন মাসে তপ্ত কড়াইয়ের ভারতে ৪০ হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন!  অন্যদিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, ১১ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে গরমে ১৯২ জন ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে।  এদিকে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সাক্ষী উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। উত্তর ও মধ্য ভারত যখন বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক, তখন অসম-সহ একাধিক রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  আবহ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার ভয়ংকরতম গ্রীষ্মের সাক্ষী গোটা এশিয়াই। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে থাকছে।  জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী মানব সভ্যতা। আরও ভালো করে বললে ‘উন্নয়ন’। গত মার্চের পর থেকেই ক্রমশ অসহনীয় হয়েছে উঠেছে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপামাত্রা।  সূর্যের লেলিহান উনুনে পুড়ে আকাশে উড়তে উড়তে বহু পাখির মৃত্যু হচ্ছে। অন্যদিকে পেটের ভাত জোটাতে রাস্