পুঠিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে জাদুঘর
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগে রাজশাহীর পুঠিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে চালু হয়েছে জাদুঘর। দর্শনার্থীদের পদচারণায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি। দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। আর সর্বক্ষণিক নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। পুঠিয়া রাজবাড়ি ও জাদুঘরের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা। জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনের ঐতিহ্যাবাহী স্থান পুঠিয়া রাজবাড়ি। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে মুঘল আমলের প্রাচীন এ স্থাপত্য। দীর্ঘ প্রস্তুতির পরও করোনা পরিস্থতিতে জাদুঘর চালু করতে দেরি হলেও সম্প্রতি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে ঐতিহাসিক এ স্থাপত্যটি। সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার এ জায়গাটি। পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘরে গ্রীষ্মকালীন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকছে। শীতকালীন সময়ে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। তবে সাপ্তাহিক ছুটি রোববার সারাদিন এবং সোমবার অর্ধ দিবস এটি বন্ধ থাকছে। আর এখানে প্রবেশ মূল্য রাখা হচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য ২০ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা, বিদেশি সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য একশত টাকা এবং অন্যান্য বিদেশিদের জন্য দুইশত টাকা। প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘর অ্যাসিসট্যান্ট কাস্টোডিয়াল শাওলী তালুকদার জানান, পুঠিয়া রাজবাড়ি ইতিহাস ও ঐতিহ্যগতভাবে অনেক আগে থেকে সমৃদ্ধশালী ছিল। আর সেই প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল পুঠিয়া রাজবাড়িতে একটি জাদুঘর চালু করব। ২০১৭ সাল থেকে এই পরিকল্পনা, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে আমরা এটা করে উঠতে পারি নি। অবশেষে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পুঠিয়া রাজবাড়িতে জাদুঘর চালু করে ফেলেছি এবং দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটক পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘর দেখতে প্রতিনিয়িত আসা যাওয়া করছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মাদ আনাছ জানান, আমাদের পুঠিয়া রাজবাড়িতে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জাদুঘরে এখন থেকে প্রত্যেক দিন প্রচুর সংখ্যাক দর্শনার্থী ভিড় করছেন। এই জাদুঘরে নানান ধরনের পুরাকীর্তি এবং প্রাচীন নিদর্শন রক্ষিত আছে। ইতিহাস ঐতিহ্য এই জাদুঘরে তুলে ধরা হয়েছে। জাদুঘরকে আরও প্রমোট করার জন্য এই জাদুঘরের উন্নয়নকল্পে আমরা নানা রকমভাবে সহযোগিতা পাচ্ছি এবং সহযোগিতা চলছে। বিশেষভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এই জাদুঘরকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং মানুষকে জানানোর জন্য আমরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। একই সাথে এখানে আরও যাতে নতুন নতুন বিষয় যোগ করা যায় আরও কিছু স্টেপমেন্ট যোগ করা যায় প্রত্নতাত্তিক বিষয়গুলো যোগ করা যায়। বিশেষভাবে আমরা চেষ্টা করছি যে রাজবাড়ির এলাকায় যে বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সে গুলোকে কালেকশন করে জাদুঘরে রাখার জন্য।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পুঠিয়া রাজবাড়িতে জাদুঘর চালু করে
ReplyDelete