তিনি যেন ইস্তানবুলের ‘রাম রহিম’। ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। এবার সুদূর ইস্তানবুলের এক স্বঘোষিত মুসলিম ধর্মগুরুর সাজাপ্রাপ্তির ঘটনা যেন রাম রহিমকে মনে করিয়ে দিল। আদনান ওক্তার নামের ওই ধর্মগুরুকে ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। ২০২১ সালেই তাঁকে ১ হাজার ৭৫ বছরের কারাবাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এবার পুনর্বিচারে সাজা বেড়ে গেল ৮ গুণ! ওক্তারের পাশাপাশি আরও ১০ জনকে একই সাজা শোনানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি টিভি শো করতেন ওক্তার। সেখানে সারাক্ষণই তাঁর চারপাশে দেখা দেখা যেত স্বল্পবসনা সুন্দরীদের। যাঁদের তিনি ‘কিটেন’ অর্থাৎ বিড়ালছানা বলতেন। তাঁর শোয়ে রক্ষণশীল মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে দেখা যেত ওই ধর্মগুরুকে। সেই সময় সারাক্ষণই তাঁর চারপাশে ঘুরে বেড়াতেন চড়া মেকআপ করা যুবতীরা। ওক্তারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা, নাবালিকাদের নির্যাতন, প্রতারণার মতো অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামরিক গুপ্তচরবৃত্তির মতো অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। গত বছর ওক্তারকে সাজা দেওয়া হলেও তা বাতিল করে উচ্চ আদালত। কিন্তু এবার পুনর্বিচারে এই সাজা পেলেন ৬৬ বছরের ধর্মগুরু। এই ধর্মগুরুর সঙ্গে রাম রহিমের মিল খুঁজে পাওয়া খুব বিস্ময়কর নয়। ডেরার দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে কুড়ি বছরের কারাদÐ দিয়েছিল হরিয়ানার পঞ্চকুলা আদালত। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। সেই খুনের ঘটনায় আরও তিনজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাম রহিম। এছাড়াও ২০০২ সালে ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংকে খুনের ঘটনায় দোষীর তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। ডেরার ভিতরে অবাধ যৌনজীবন যাপন করতেন রাম রহিম। তাঁকে ঘিরে থাকতেন সঙ্গিনীরা। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর) শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক। সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ। ভাষা ও সাহ
good
ReplyDelete