Skip to main content

Featured Post

Bangladesh and Qatar signed ten agreements and understandings

  বাংলাদেশ ও কাতারের দশ চুক্তি ও সমঝোতা সই বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিগুলো হলো- 1* আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি 2* পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি 3* দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধ চুক্তি 4* সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি 5* দুই দেশের যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- 6* কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক 7* যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক 8* শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সমঝোতা স্মারক 9* উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক 10* বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক শেখ তামিম মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা

"December bombing of opposition like Bangladesh in West Bengal

 ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের মতো বিরোধীদের বোমা হামলা

 

সামনে রেখে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন  উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। বিরোধী দল বিএনপির নেতারা হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে’। তাদের এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ডিসেম্বরে বিএনপিকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না’। বাংলাদেশের মতো রাজনীতিতে এই ডিসেম্বরের হাওয়া লেগেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। চলতি মাসে বড় কিছু ঘটার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী হতে চলেছে ডিসেম্বরে, তা খোলাসা করেননি এ বিজেপি নেতা। গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ১৩, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর- এই তিন দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপেক্ষা করুন দেখার জন্য।’ বিরোধীদের এমন কথায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। তাহলে কি অকালে তৃণমূল সরকার পতনের ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা? ডিসেম্বরে কি বড়সড় কোনো রাজনৈতিক চমক আসবে? নাকি এসব নিছকই রাজনৈতিক কৌশল? কয়েক মাস ধরেই বারবার ডিসেম্বরের ডেডলাইনের কথা শোনা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের মুখে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে বোমা, গুলি, সন্ত্রাস, সহিংসতা, মৃত্যুর ঘটনা ও দলীয় কোন্দল বাড়ছে। উঠেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাবন্দি রয়েছেন রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলসহ আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী। স্বভাবতই এতে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ৩ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গেছে, ‘চলতি মাসেই আবার আসবো আপনাদের এখানে। এক গাড়ি লাড্ডু নিয়ে আসবো। কারণ বলছি না। কিন্তু এ মাসের শেষেই আসবো। বিজয় দিবস পালন করবো। আপনারা সবাই তৈরি থাকুন।’ শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘এই যে ডিসেম্বর ধামাকা, ওরা বলছে সরকার পড়ে যাবে। আপনি কি জানেন, আমি যদি দরজা খুলে দেই তাহলে বাংলায় বিজেপি বলে কোনো দল থাকবে না।’ দিলীপ ঘোষের মুখেও শোনা গেছে ডিসেম্বরের কথা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেছেন, ‘ভোট এখন নেই, কিন্তু ডিসেম্বরের পরে হতে পারে।’ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কয়েকদিন আগে বলেছেন, ‘সময় আসুক, ডিসেম্বরে বুঝতে পারবেন। যত শীত পড়বে, সরকার তত কাঁপবে।’ তবে বিরোধী দলের নেতাদের ‘ডিসেম্বর ধামাকা’ মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির রাজ্যসভার সদ্য সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, ‘আসলে ওদের দলের লোকেরাই যারা সরকারে আছে, তারা তাদের রাজ্যের নেতাদের কিছু খবর দিচ্ছে যে, অমুক দিন সিবিআই অভিযানে যাবে, তমুক দিন ইডি যাবে। সিবিআই, ইডি বা অন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলো এবং বাংলার বিজেপি সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। দল আর সরকার বলে আলাদা কিছু নেই।’ তাছাড়া বিরোধীদের এই ডিসেম্বর ধামাকা নিয়েই গত মাসে একটি সভা থেকে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ওই সভায় উপস্থিত রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘কমিউনাল পকেটগুলো এখন থেকে দেখে রাখুন। কেউ কেউ পরিকল্পনা করছে ডিসেম্বর ধামাকা অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ লাগাতে পারে।’ যদিও এসবই অনুমান, আশঙ্কার কথা। বিশেষ করে, শুভেন্দুর বেঁধে দেওয়া ওই তিন দিনে বিশেষ কী ঘটতে চলেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তবে কি নিছকই রাজনৈতিক কৌশল নাকি এর পেছনে সত্যি কোনো অন্তর্নিহিত অর্থ রয়েছে- তা সময়ই বলতে পারে। তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ


Comments

Popular posts from this blog

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা

আ.লীগই ক্ষমতায় আসছে: শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট একেবারে দোড়গোড়ায়। বাকি আর মাত্র তিন দিন। দেশজুড়ে ভোটের উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনার মধ্যে নিশ্চিন্ত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে কলকাতার আনন্দবাজারকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এবারও আওয়ামী লীগ জিতবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুধাসদন ভবনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। জনগনের ভোটেই আমরা আবার নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কী ভাবে হচ্ছেন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৬০০ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভোটও দিয়েছিল। সেই জনগণ আবার আমাদেরই ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ সে সব ভোলেনি। ভোলেনি বলেই ওই সব ঘটনা যে

The Prime Minister handed over Ekushey Padak to 21 people

প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দিলেন ২১ জনের হাতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জনের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের স্বজনদের হাতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন দু’জন। এরা হলেন- মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)  শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ১১ জন পেলেন এই পদক।  সংগীতে পেলেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।  অভিনয়ে অবদান রাখায় ডলি জহুর এবং এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) এবং রূপা চক্রবর্তী, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।  ভাষা ও সাহ

29 killed in bus ditch in Mexico

  মেক্সিকোতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯ মেক্সিকোর ওহাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।  বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।  মেক্সিকো সিটি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ওহাকা রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পথে মাগদালেনা পেনাসকো শহরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসুস রোমেরোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  খাদে পড়ে যাওয়ার আগে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।  আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে কাছাকাছি একটি শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৫ জনকে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানী ওহাকা সিটিতে, বলেছেন কর্মকর্তারা।  চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে গেলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।  তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ