শেষ দিনে জোর প্রচারণা প্রার্থীদের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার ও সভা-সমাবেশের শেষ সময় আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত। সেই হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হচ্ছে তাদের প্রচার ও সমাবেশের শেষ দিন।
শেষ সময়ে নিজ নিজ আসনে জোর প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে প্রতিটি আসনে প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মিছিল, মিটিং, জনসভা করে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগ থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকার বিধান রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কোনো প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল প্রচার কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। আরপিওর ৭৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর কোনো ব্যক্তি, প্রার্থী বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কেউ নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন বা এতে যোগ দিতে পারবেন না।
সে অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত যে কোনো ধরণের সভা-সমাবেশ ও মিছিল এবং শোভাযাত্রা করা যাবে না। ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর পরই ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট গ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোট দেয়ার সুবিধার্থে সারা দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবার নিবন্ধিত সব (৩৯টি) রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮০০’র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। ৩০০ আসনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় এক কোটি ২৩ লাখ। এবারের নির্বাচনের ৪০ হাজার ১৮৩ ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ৬ হাজার ৪৭৭টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
এবারই প্রথম ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত থাকবেন প্রায় সাত লাখ কর্মকর্তা। এরই মধ্যে সেনা ও নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) অন্য বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য।
সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা মনিটরিংয়ে কাল শুক্রবার ইসিতে ‘আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং’ কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিস্তর অভিযোগ করেছে। এতে ভোট ঘিরে শঙ্কাও বিরাজ করছে ভোটারদের মাঝে।
Comments
Post a Comment