কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাইলেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসনের ৫০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ দাবি জানান বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম। তিনি বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটাও আমাদের দেখতে হবে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচি...
১৬৮-২২২টি আসন পাবে আ.লীগ: জয়
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৮ থেকে ২২২টি আসনে জয়লাভ করবে বলে উল্লেখ করেছেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার রাতে নিজের ভেরিভাইড ফেসবুক পেজে একটি জনমত জরিপের বরাত দিয়ে এই তথ্য তিনি তুলে ধরেন।
সেই জরিপের ভিত্তিতে জয় জানান, বর্তমান ক্ষমতাসীল দল আওয়ামী লীগের প্রতি ৬৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিকে সমর্থন করে ১৯.৯ শতাংশ মানুষ। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে চালানো এই জরিপকে তিনি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় জাতীয় জনমত জরিপ বলে উল্লেখ করেন। পাঠকদের জন্য জয়ের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হল:
‘এই বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমরা এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় জাতীয় জনমত জরিপটি করাই। নিরপেক্ষ গবেষণা সংগঠন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) দ্বারা এই জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এ বছরের মেয়র নির্বাচনের জরিপটিও এই সংগঠনটি করেছিল।
‘আপনাদের হয়তো মনে আছে আমার পেজ থেকে সেই জরিপটিও শেয়ার করি। যার ফলাফল নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে মোটামুটি ভালোই মিলেছিল। এই জরিপটির জন্য আমরা ৫১টি নির্বাচনী আসনের ৫১ হাজার নিবন্ধিত ভোটারের সঙ্গে কথা বলি। অর্থাৎ প্রতি আসনে অন্তত এক হাজার ভোটারের সঙ্গে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব নির্বাচনের ফলাফল আমলে নিয়েই এই ৫১টি আসন আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে বেছে নিয়েছিলাম। এই আসনগুলোতে আমরা সবচেয়ে বেশি ভিন্ন ভিন্ন দলের জন্য ভোট দেয়ার প্রবণতা দেখতে পাই বা সাধারণত জয়ের পার্থক্য সবচেয়ে কম থাকে। অর্থাৎ এই আসনগুলো নিয়েই আমাদের দল সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিল।’
‘যেহেতু জরিপটি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার আগে করা হয়েছিল, সেহেতু আমরা প্রার্থীদের ব্যাপারে জনমত জানতে পারিনি। কিন্তু দলগতভাবে ৫১টি আসনেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। ১২.২ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জয়পুরহাট-১ আসনে আর ৭৫ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবণা বরিশাল-৪ আসনে। যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি তাদের সবচেয়ে কম সংখ্যা দেখা যাচ্ছে টাঙ্গাইল-৩ আসনে, ২.৫ শতাংশ। এই আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিকটবর্তী দলের ব্যবধান ৪১.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ১৯.৮ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সিদ্ধান্তহীনদের সংখ্যা সাতক্ষীরা-৩ আসনে, যেখানেও আওয়ামী লীগের জয়লাভের ব্যবধান ৬৪.৭ শতাংশ।’
‘আওয়ামী লীগের জন্য গড় সমর্থন ৬৬ শতাংশ মানুষের, বিএনপির জন্য ১৯.৯ শতাংশ আর ৮.৬ শতাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেননি। যারা সিদ্ধান্ত নেননি তাদের থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থনের ব্যবধান অনেক বেশি।’
‘আরও গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে কোনো আসনেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ১০ শতাংশের এর মধ্যে নেই। শুধু দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ২০ শতাংশ। এর মধ্যে ২৮টি আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমর্থনের পার্থক্য ৫০ শতাংশের বেশি। সমর্থনের পার্থক্য ১০ শতাংশের বেশি হলেই দ্বিতীয় দলটির জন্য তা পার করা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে যায়। আর ২০ শতাংশের বেশি পার্থক্য থাকলে একাধিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দ্বারাও তা টপকানো সম্ভব হয় না।’
এই ফলাফলগুলো বয়স ও লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে বের করা হয়েছে। তাই মোট ফলাফল সর্বক্ষেত্রে শতভাগ নয়। আসন অনুযায়ী ‘মার্জিন অফ এরর’ ৩ শতাংশ এবং আস্থা স্তর বা Confidence Level ৯৫%। এই জরিপগুলোর ওপর ভিত্তি করে এবং ১৯৯১-২০০৮ এর নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করার পর আমার বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৬৮ থেকে ২২২ টি আসনে জয়লাভ করবে।’
Comments
Post a Comment