মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের অধিকাংশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির আপিল আদালত। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারে রিপাবলিকান নেতার প্রধানতম হাতিয়ার এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ ভোটে দেওয়া এই রায়ে এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা, মেক্সিকোর ওপর আরোপিত আরেক দফা শুল্কের বৈধতা নিয়ে রায় দিয়েছে। রায়ের পক্ষে মত দেওয়া সাত বিচারপতির ছয়জন ডেমোক্র্যাট আর একজন রিপাবলিকান আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রায়ের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মধ্যে দুজন ডেমোক্র্যাট ও দুজন রিপাবালিকান প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পেয়েছেন। অ বশ্য, অন্য আইনি কর্তৃপক্ষ আরোপিত শুল্ক, যেমন ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক, এই রায়ের প্রভাব নেই। হোয়াইট হাউজের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ককে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি মূল ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। ইচ্ছেমতো এই হাতিয়ার ব্যবহার করে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদ...
১০৪০ টাকায় কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু রাজশাহী বিভাগে লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ৬৪৩ টন
রাজশাহীতে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান কেনা শুরু করেছে সরকার। গতকাল সোমবার রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় এ ধান কেনা উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদরা। এবছর ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৪০ টাকায়। তবে ধান কেনা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৪ দিন পর।
আঞ্চলিক খাদ্য অধিদফতরের হিসাবে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪৩ টন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২ হাজার ১২ টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক হাজার ৪৪৬ টন, নওগাঁয় ৫ হাজার ৬৬২ টন, নাটোরে ২ হাজার ১১৫ টন, পাবনায় ১ হাজার ৯২৫ টন, সিরাজগঞ্জে ৫ হাজার ৮৮৩ টন, বগুড়ায় ৫ হাজার ৫৮৬ টন এবং জয়পুরহাটে ২ হাজার ১৪ টন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাজশাহী অঞ্চলের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বোরো ধান কেনা। বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থেকে ধান কেনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ধান কেনা নজরদারি করছেন প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। এবার প্রতি কেজি বোরো ধান কেনা হচ্ছে ২৬ টাকা দরে। সে হিসাবে প্রতি মণ ধানের দাম পড়ছে এক হাজার ৪০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ধান কেনা কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা। এবার উপদেষ্টা হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। এই কমিটির অনুমোদিত তালিকা ধরেই কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে।
সোমবার সকালে জেলার পুঠিয়া উপজেলায় বোরো ধান সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এরই মধ্যে দুপুরে ধান কেনা শুরু হয়েছে রাজশাহীর তানোরে। তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া খাদ্যগুদামে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু উপস্থিত ছিলেন।
একই সময় জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও বোরো ধান কেনা শুরু হয়। বোরো ধান ছাড়াও চাল ও গম কেনা হচ্ছে একইসঙ্গে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকেই ধান, গম ও চাল কেনা হচ্ছে।
thanks gov.
ReplyDelete