বলছে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য : ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা গুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর নতুন তথ্যে বিষয়টি সামনে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। বুধবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অবশ্য ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল চূড়ান্ত করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রশাসনের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে যে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালাবে কি না, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলেও জানায় সিএনএন। এদিকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া ইসরায়েলি দূতাবাস এবং প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএনএনের প্রতিবেদনে এক গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, “সাম্প্রতিক কয়ে...
দুর্গাপুর প্রতিনিধি
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর এলাকা থেকে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ তিন দালালকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হেলাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। দুর্গাপুর থানায় নিয়ে তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন-উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা ওরফে রোমানা এবং আরমানের স্ত্রী পারভীন ওরফে ইয়াসমিন।
আর আটক দালাল ৩ জন হলো- দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আলী আহমেদ চৌধুরীর ছেলে হেলাল চৌধুরী, ঝিনাইদহের শৈলকূপার রঘুনাথপুরের আজিম উদ্দিন মোল্লার ছেলে আল মামুন, মেহেরপুরের গাংনী ইউনিয়নের বাথানপাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে সাগর আহমেদ। স্থানীয়রা জানায়, আলীপুর গ্রামের আলী হোসেন চৌধুরীর ছেলে হেলাল চৌধুরীর বাড়িতে প্রায় দেড়মাস মাস ধরে ওই রোহিঙ্গা নারী বসবাস করে আসছিলো। তারা আসার পর থেকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে চলা ফেরায় সন্দেহ হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে থানা পুলিশ হেলালের বাড়িতে অভিযান পারিচালনা করে।
এ সময় হেলালের বাড়ি থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ওই দুই নারীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ওই নারীরা রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন পুলিশ। দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মোতালেব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে তাদেরকে আটক করে থানা আনা হয়। বর্তমানে তাদেরকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসানও এখানে উপস্থিত রয়েছেন। ওসি আরো জানান, প্রকৃতপক্ষেই তারা রোহিঙ্গা কি না তা রোববার দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটকদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে-তাদেরকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট করে রাজশাহী সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল দালাল চক্রের সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, তারা প্রকৃত রোহিঙ্গা শরণার্থী কি না তা যাচাই বাছাই করার জন্য বিকেলে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কার্যালায়ে তাদের প্রেরণ করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম রাতে জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দুই নারীসহ দালালদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
rohinga
ReplyDelete