চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ আগুন লেগে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন শোভাযাত্রা। এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে। আর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রায় বহনের জন্য অন্যতম বড় একটি মোটিফ বানানো হচ্ছিল, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর উচ্চতা ছিল ২০ ফুট। প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’র মোটিফটির সঙ্গে ‘শান্তির পায়রা’র একটি মোটিফও পুড়ে গেছে। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনও আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। ...
যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাত অবসানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এ কথা জানান তিনি। রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইস্তানবুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যুদ্ধ থামাতে এখন থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। কারণ এই যুদ্ধে কোনও পক্ষ বিজয়ী হবে না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরাজয় হবে’। ক্রমবর্ধন সংকট নিরসনে প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। এর আগে দেশটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল এখন পর্যন্ত আসেনি। এ প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলা আলোচনার প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তুলছে’। রুশ বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইব্রাহিম কালিন। মারিউপোল রুশ বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলায় আটকা পড়েছেন কয়েক লাখ বাসিন্দা। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বোমা হামলায় বন্ধ হয়ে পড়েছে জরুরি খাদ্য সরবরাহ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু স্থাপনা। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রনীয় যোদ্ধারা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর জেরে পুতিনসহ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরাপ করছে ইউক্রেনের মিত্রদেশগুলো।তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন
Comments
Post a Comment