বাংলাদেশ ও কাতারের দশ চুক্তি ও সমঝোতা সই বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিগুলো হলো- 1* আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি 2* পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি 3* দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধ চুক্তি 4* সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি 5* দুই দেশের যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- 6* কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক 7* যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক 8* শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সমঝোতা স্মারক 9* উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক 10* বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক শেখ তামিম মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা
যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাত অবসানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এ কথা জানান তিনি। রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইস্তানবুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যুদ্ধ থামাতে এখন থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। কারণ এই যুদ্ধে কোনও পক্ষ বিজয়ী হবে না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরাজয় হবে’। ক্রমবর্ধন সংকট নিরসনে প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। এর আগে দেশটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল এখন পর্যন্ত আসেনি। এ প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলা আলোচনার প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তুলছে’। রুশ বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইব্রাহিম কালিন। মারিউপোল রুশ বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলায় আটকা পড়েছেন কয়েক লাখ বাসিন্দা। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বোমা হামলায় বন্ধ হয়ে পড়েছে জরুরি খাদ্য সরবরাহ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু স্থাপনা। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রনীয় যোদ্ধারা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর জেরে পুতিনসহ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরাপ করছে ইউক্রেনের মিত্রদেশগুলো।তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন
Comments
Post a Comment