বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান সংঘাত অবসানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই এ কথা জানান তিনি। রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইস্তানবুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যুদ্ধ থামাতে এখন থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। কারণ এই যুদ্ধে কোনও পক্ষ বিজয়ী হবে না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরাজয় হবে’। ক্রমবর্ধন সংকট নিরসনে প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। এর আগে দেশটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল এখন পর্যন্ত আসেনি। এ প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলা আলোচনার প্রক্রিয়াকে আরও কঠিন করে তুলছে’। রুশ বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিউপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের কীভাবে সরিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইব্রাহিম কালিন। মারিউপোল রুশ বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলায় আটকা পড়েছেন কয়েক লাখ বাসিন্দা। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বোমা হামলায় বন্ধ হয়ে পড়েছে জরুরি খাদ্য সরবরাহ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু স্থাপনা। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রনীয় যোদ্ধারা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর জেরে পুতিনসহ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরাপ করছে ইউক্রেনের মিত্রদেশগুলো।তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন

Comments
Post a Comment