গোমস্তাপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে উপচে পড়া ভীড়
কয়েকবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে ইদ ও অন্য সময়ে দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের তেমন দেখা দেয়নি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে ইদ আনন্দ উপভোগকারী দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ইদের দিন দুপুরের পর থেকে চলছে এই ভীড়। স্থানগুলোতে বৃদ্ধদের উপস্থিতি কম হলেও নারী-পুরুষ,শিশু, যুবক-যুবতী উপস্থিতি ছিল অনেকটা বেশি। গোমস্তাপুর উপজেলার প্রানকেন্দ্র রহনপুরের একটু অদূরে রাজালক্ষনের স্মৃতি বিচরিত ষাঁড়বুরুজ পাড়, রহনপুর পৌরসভার শিশু পার্ক, মহানন্দা নদীর উপর নির্মিত চৌডালা ও মকরমপুর সেতু, পাখি পার্ক,স্টার পার্ক, রামদাস বিল,শিবরামপুর সীমান্তে এলাকাসহ বেশ এলাকায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতে মুখরিত ছিল। স্থানগুলো দর্শনার্থীদের জন্য মুখরিত খাবারে দোকান বসেছিল। ষাঁড়বুরুজ এলাকার বারো ভাজী দোকানদার মাঈনুল ইসলাম জানান, ইদের দিন সকালে বৃষ্টি হলে তিনি দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন। এই দর্শনীয় স্থানে ইদের দিন থেকে প্রচুর লোকজনের সমাগম ঘটে। রাত পর্যন্ত বেচাকেনার করে থাকে। রমজানের পুরো মাস তাঁর ব্যবসা বন্ধ থাকে। তাই পুরো মাসের ব্যবসার এই কয়দিনে পুষিয়ে নেন। রহনপুর বাজারের বাসিন্দা সজিব হোসেন জানান,চাকুরী কারণে বাইরে থাকতে হয়। এলাকায় তেমন থাকা হয়না। পরিবারের এখন অনেক নতুন সদস্য এসেছি। তাঁদেরকে পরিচিত করার জন্য রাজালক্ষণের স্মৃতি বিজড়িত স্থানটিতে নিয়ে এসেছি। পাড়ে উঠে তাঁরা বেশ খুশি। রহনপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা রামদাস ঘাট এলাকায় ঘুরতে আসা সামিরুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন কোথায় ঘুরতে যাওয়ার হয়নি। বাইকে করে কয়েকজন বন্ধু মিলে এসেছি। এখানে এসে ইদের আমেজ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই স্থানের চারিদিকে সবুজের সমারহ। পূণর্ভবা নদী বয়ে চলে গেছে একদিকে অন্যদিকে আরেকটি ভারত সীমান্তে চলে গেছে। তাঁরমত অনেকে সন্ধ্যার সময় ভারতের কাঁটাতারের সংলগ্ন ভারতীয় লাইট দেখতে বসে আসে।
মহানন্দা নদীর পাড়ে নির্মিত মকরমপুর সেতুতে আসা নারী দর্শনার্থী রেবেকা জানান, ইদের পরের দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা নদী ও সেতুর উপর ঘুরাঘুরি করতে পেরে খুশি। রহনপুর পৌরসভার শিশু পার্কে এক অভিভাবক বলেন, পৌর এলাকার খেলার তেমন মাঠ নেই, শিশুদের একটু খুশি দিতে এখানে এসেছি। তবে অনেক পরিবারের শিশুরা এসেছে এখানে। তাঁদের সাথে খেলতে পেরে বেশ খুশি। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন উপজেলাবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইদ আনন্দে যাতে অঘটন বা দূর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
Comments
Post a Comment