চারুকলায় শোভাযাত্রার জন্য ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ আগুন লেগে পুড়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যগত প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখের অন্যতম একটি আয়োজন শোভাযাত্রা। এবছর ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখা হয়েছে। আর জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রায় বহনের জন্য অন্যতম বড় একটি মোটিফ বানানো হচ্ছিল, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর উচ্চতা ছিল ২০ ফুট। প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’র মোটিফটির সঙ্গে ‘শান্তির পায়রা’র একটি মোটিফও পুড়ে গেছে। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনও আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। ...
ভারতে গণধর্ষণের দায়ে ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভারতের বেঙ্গালুরুতে দলগতধর্ষণের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী
সাব্যস্ত করে তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির
একটি বিশেষ আদালত।
শুক্রবার (২০ মে) টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে
বলা হয়- ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে চাঁদ মিয়া, মো. রিফাকদুল ইসলাম, মো. আলামিন
হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মো. বাবু শেখ, মো. ডালিম ও আজিম হোসেনসহ সাতজনকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত।
এছাড়া তানিয়া খান ও মো. জামালকে যথাক্রমে ২০ বছর এবং ৫ বছরের কারাদণ্ড
দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় আরও দুই নারী আসামিকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে ৯
মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই
বাংলাদেশি নাগরিক।
তারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে
আসছিলেন। তবে মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়। তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।২০২১ সালের মে মাসে বেঙ্গালুরু শহরের কানাকা নগরে এক নারী যৌন নিপীড়নের
শিকার হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অপরাধ সংঘটনের
২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং তিন মাসে বিচার
শেষ করা হয়। এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার
(প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা
হয়েছিল।
ধর্ষণের ওই ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের
সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দেয়। মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বাংলানিউজ
Comments
Post a Comment