বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে । পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মো. নওসাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বি জ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ (ফ্লাইট সেফটি)। এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবেন সদস্য হিসেবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি) এবং উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওর কাছে তদন্ত...
ভারতে গণধর্ষণের দায়ে ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভারতের বেঙ্গালুরুতে দলগতধর্ষণের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী
সাব্যস্ত করে তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির
একটি বিশেষ আদালত।
শুক্রবার (২০ মে) টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে
বলা হয়- ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে চাঁদ মিয়া, মো. রিফাকদুল ইসলাম, মো. আলামিন
হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মো. বাবু শেখ, মো. ডালিম ও আজিম হোসেনসহ সাতজনকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত।
এছাড়া তানিয়া খান ও মো. জামালকে যথাক্রমে ২০ বছর এবং ৫ বছরের কারাদণ্ড
দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় আরও দুই নারী আসামিকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে ৯
মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই
বাংলাদেশি নাগরিক।
তারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে
আসছিলেন। তবে মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়। তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।২০২১ সালের মে মাসে বেঙ্গালুরু শহরের কানাকা নগরে এক নারী যৌন নিপীড়নের
শিকার হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অপরাধ সংঘটনের
২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল এবং তিন মাসে বিচার
শেষ করা হয়। এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার
(প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা
হয়েছিল।
ধর্ষণের ওই ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের
সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দেয়। মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বাংলানিউজ

Comments
Post a Comment