দক্ষিণ সুদানে অপুষ্টির ঝুঁকিতে ৬০ হাজার শিশু: জাতিসংঘ দক্ষিণ সুদানে নীলনদের উপকূলে লড়াই চলার কারণে মারাত্মক খাদ্য ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৬০ হাজার শিশু। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতিসংঘের দুটি ভিন্ন সংস্থা বলেছে, চলমান সংঘাতের কারণে দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রায় মাসখানেক ধরে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো ব্যাহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, নীলনদের উজানের দিকের অঞ্চলে চলতি মাসেই খাবার সংকট দেখা দেবে বলে তাদের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ দক্ষিণ সুদানের ওই অংশেই অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ। সংস্থা দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও সংকটে শিশুরাই প্রথম ভুক্তভোগী হয়। তা প্রতিহত করতে আমাদের উচিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। নইলে খাদ্য ঘাটতির কারণে ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর হয়ে পড়া এলাকায় অপুষ্টির মাত্রা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। দক্ষিণ সুদানে অল্পই পাকা রাস্তায় রয়েছে। আর কাচা রাস্তাগুলো বর্ষাকালে চলাচলের অনেকটা অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে, দেশটির যোগাযোগব্যবস্থায় নীলনদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত মাসের ম...
ভারত এবার আফগানিস্তানের অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলি শেষ করবে, দাবি তালিবানের
আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশেই কোনও না কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে ভারত। এখনও হাতে রয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই দেশটি তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই সেই সব প্রকল্প আর সম্পূর্ণ করা যায়নি। এবার তালিবান জানিয়ে দিল, ভারত আফগানিস্তানে তাদের অসমাপ্ত অন্তত যে ২০টি প্রকল্প রয়েছে তা সম্পূর্ণ করার কাজ শুরু করতে পারে। ২০২১ সালে আগস্টে তালিবান কাবুল দখল করার পরই সেদেশের দূতাবাস থেকে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এরপর গত জুনেই কাবুলে নতুন করে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল ভারত। সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে। পরে আগস্ট মাসে আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, সেদেশে ভারতের কূটনৈতিক উপস্থিতি তৈরি হয়েছে নতুন করে। এবার তারা অসমাপ্ত প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করুক। এবার ফের আফগানিস্তানের নগর উন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রকের তরফেও একই কথা বলা হল। ৯/১১ পরবর্তী অধ্যায়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে স্থাপিত হয়। তারপর থেকে সেদেশের সব প্রদেশেই বিনিয়োগ করেছে ভারত। হাইওয়ে থেকে আফগান পার্লামেন্ট, স্কুল, হাসপাতাল- ‘বন্ধু’ ভারতের সমস্ত বিনিয়োগই ঘোর সংকেটর মুখে পড়ে তালিবানের প্রত্যাবর্তনে। যদিও তালিবানের আশ্বাসে তৈরি হয় নতুন সম্ভাবনা। এদিকে তালিবান আফগানভূম দখলের পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। চাপ বেড়েছে আফগানিস্তানের সীমান্তে থাকা দেশগুলিরও। মনে করা হচ্ছে, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তালিবান। যৌথভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রম ঠিক করতে অজিত দোভালের নেতৃত্ব বৈঠক ডেকেছিল ভারত। চিন ও পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা যোগ দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি আফগানিস্তানের অসমাপ্ত নির্মাণকাজ শুরু করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
Taleban and india kutnoitik abasta
ReplyDelete